ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের এবারের গ্রীষ্ম শুরু হলো জয়গানে। একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ৪৫ রানে হারিয়ে ইংল্যান্ড তুলে নিল আত্মবিশ্বাসী সূচনা। আর এই জয়ের নায়ক— তরুণ অফস্পিনার শোয়েব বশির, যিনি দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে ধ্বংস করে দেন প্রতিপক্ষকে।
মোট ৯ উইকেট নিয়ে বশির লিখে রাখলেন নিজের নাম ইংল্যান্ডের স্পিন ইতিহাসে, আর একটানা দুই ইনিংসে লড়াকু প্রতিরোধ গড়েও সফরকারীদের জন্য যথেষ্ট ছিল না শন উইলিয়ামস (৮৮) ও সিকান্দার রাজা (৬০)-র সাহসী ইনিংস।
ব্যাট হাতে ইংল্যান্ড ছিল বেপরোয়া। তিনটি সেঞ্চুরি— অলি পোপ (১৭১), বেন ডাকেট (১৪০), আর জ্যাক ক্রলি (১২৪)— ৫৬৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ৩ উইকেট নিলেও খরচ করেন ১৪৩ রান।
জবাবে প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে তুলে ২৬৫ রান— যার মধ্যে ছিল ব্রায়ান বেনেটের দুর্দান্ত ১৩৯ রানের লড়াকু ইনিংস। কিন্তু বশির সেখানেই প্রথম ছাপ রাখেন ৩ উইকেট নিয়ে। ফলো অনে পড়া জিম্বাবুয়ের সামনে তখনও পাহাড়সম লিড টপকানোর অসম্ভব মিশন।
তৃতীয় দিনে ব্যাট হাতে শুরুটা সাহসীই ছিল। উইলিয়ামস খেললেন স্টাইলিশ কাভার ড্রাইভ, ৪২ বলে অর্ধশতক। ১২২ রানের জুটি গড়লেন বেন কারানের সঙ্গে। পরে রাজার সঙ্গে আরও একবার ৬৫ রানের জুটি এনে দেন একটু আশা।
কিন্তু ঠিক সেখানেই বশিরের স্পিন মঞ্চ। কারানকে ফিরিয়ে দেন ক্যাচে, এরপর টস-টপ-বলিংয়ে একে একে সাজঘরে পাঠান মাধেভেরে, তসিগা, মুজারাবানি ও রাজাকে।
সিকান্দার রাজা একপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে নিজের দশম ফিফটি করেন। কিন্তু ততক্ষণে বাশিরের ঘূর্ণি ছোবলে ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়ের পতন নিশ্চিত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ৫৬৫/৬ ডি (অলি পোপ ১৭১, ডাকেট ১৪০, ক্রলি ১২৪; মুজারাবানি ৩-১৪৩)
জিম্বাবুয়ে ২৬৫ (বেনেট ১৩৯; বশির ৩-৬২) ও ২৫৫ (উইলিয়ামস ৮৮, রাজা ৬০; বশির ৬-৮১)
ফলাফল: ইংল্যান্ড জয়ী ইনিংস ও ৪৫ রানে
মন্তব্য করুন