২০৪১ সালে বাংলাদেশের পরিচয় উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এজন্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শুক্রবার (২৮ জুলাই) এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন পলক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ এবং আইসিটি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের প্রকল্প এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট (ইডিজিই) আয়োজিত অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেট ফর ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনালস (এসিএমপি ৪.০) কোর্স প্রশিক্ষণের উদ্বোধনে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
এ সময় পলক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ মাস্টারপ্লানের চার স্তম্ভ- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটির ওপর ভিত্তি করে সুপরিকল্পিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। এসব কর্মসূচির বাস্তবায়নে নাগরিকদের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। যাতে ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশের পরিচয় হয় উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে।
আরও পড়ুন: সামাজিক ও আইনি সমস্যায় ব্লকচেইন টেকসই সমাধান : পলক
সরকার ইতোমধ্যে স্মার্ট সিটিজেন গড়ে তোলার জন্য ইতোমধ্যে স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি (এসএলএ) প্রতিষ্ঠা করেছে। অচিরেই সেন্টার ফর ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলেশন প্রতিষ্ঠা করা হবে।
পলক আরও বলেন, আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা ও বিনিয়োগের প্রসারে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং মধ্যম স্তরের কর্মকর্তারাই মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা ও বিনিয়োগ যত বৃদ্ধি পাবে আইসিটি শিল্পও তত বিকশিত হবে। এজন্য আইসিটি বিভাগ এবং আইবিএ আইটিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং মধ্যম স্তরের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য এসিএমপি ৪.০ কোর্স চালু করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-এর পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ এ মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যাঞ্চেলর অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রঞ্জিত কুমার, আইবিএ’র অধ্যাপক শাকিলা ইয়াসমিন, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের অপারেশন ম্যানেজার গেইলি মার্টিন, ইডিজিই প্রকল্প পরিচালক নাহিদ সুলতানা মল্লিক।
আইসিটি বিভাগ জানায়, বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যম স্তরের ৩০৬ জন কর্মকর্তা এসিএমপি ৪.০ কোর্সের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছেন। এর আগে এসিএমপি ৪.০ কোর্সের আওতায় বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানের ৮৫৫ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে দুজন রুমন ইশতিয়াক এবং আগমেডিক্স বাংলাদেশের সামিয়া মুশতারিম তাদের প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন