কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চীনে রহস্যময় পিরামিড পাহাড় এলো কোথা থেকে?

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত পিরামিড সদৃশ পাহাড়। ছবি : সংগৃহীত
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত পিরামিড সদৃশ পাহাড়। ছবি : সংগৃহীত

মিসরের পিরামিডের খ্যাতি জগত জোড়া। কিন্তু মিসর ছাড়াও মেক্সিকো, সুদান ও চীনের মতো দেশেও রয়েছে পিরামিড। এসব পিরামিড দেখতে প্রতি বছর ভিড় জমায় হাজারও দর্শণার্থী। তবে চীনেই এমন কিছু পাহাড় রয়েছে, যেগুলো দেখতে অবিকল পিরামিডের মতো। দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় গুইঝৌ প্রদেশের আনলং কাউন্টিতে ওই পাহাড়ের অবস্থান।

বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই এগুলো পাহাড়। দেখতে এমন অনন্য হওয়ায় এই পাহাড় রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দর্শনার্থীদের কাছে। চীনের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন এই পাহাড় দেখতে আসছেন হাজার হাজার মানুষ। দর্শনার্থীরা চোখে এসব পাহাড় যেন পিরামিড হিসেবেই ধরা পড়েছে।

চলতি বছরের মার্চে আনলংয়ের কাছে পিরামিডের মতো এই পাহাড়ের ভিডিও ওপর থেকে ধারণ করেন একজন ফটোগ্রাফার। এরপর সেই ভিডিও চীনের টিকটকের মতো ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ডোইনে পোস্ট করেন। ভিডিওটি তিনি সূর্যাস্তের সময় ধারণ করেছিলেন। সেটি পোস্ট করার পর পরই ৪০ লাখের বেশি ভিউ হয়। কমেন্ট পরে এক হাজারের বেশি।

ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, আমি মনে করি এই পাহাড় দেখতে অনেকটাই পিরামিডের মতো। এর উচ্চতা ও উচ্চতা কোণ এমনকি অক্ষাংশেরও পিরামিডের সঙ্গে খুব মিল রয়েছে।

কয়েক মাস আগে ধারণ করা আরেকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সুউচ্চ ওই পাহাড়গুলো দেখতে পিরামিডের মতো। তবে এর বাইরের অংশ পুরোটাই সবুজের চাঁদরে ঢাকা। দর্শনার্থীদের কাছে তাই রহস্যেই আবৃত এই পিরামিড পাহাড়। এখন এই পাহাড়কে ঘিরেই ওই এলাকার পর্যটন ব্যবসা জমে উঠেছে। বানানো হচ্ছে বিভিন্ন উঁচু প্ল্যাটফর্ম, যেখান থেকে এই পাহাড় দেখা যায়।

মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পাঁচ দিনের ছুটিতে ৬১ হাজার দর্শনার্থী পিরামিড পাহাড় দেখতে গিয়েছিল। গুইঝৌর বাইরে থেকেও বেইজিং ও সাংহাই দেখে ছুটে যান দর্শনার্থীরা। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রায় ২০ কোটি বছর আগে প্রাকৃতিকভাবেই এই পাহাড় গঠিত হয়েছে। ডলোমাইট নামে এক ধরনের চুনাপাথরের কারণে পিরামিডের আকৃতি ধারণ করেছে এই পাহাড়।

গুইঝৌ প্রদেশ চীনের দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত। এই অঞ্চলটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ১০০ মিটার উঁচু। এখানকার প্রায় ৯২.৫ শতাংশ এলাকা পাহাড়ি। এ কারণে এই অঞ্চলটি চীনের সবচেয়ে পার্বত্যময় অঞ্চল হিসেবেও পরিচিত। পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় গুইঝৌর আবহাওয়াও অন্য যেকোনো স্থান থেকে আলাদা।

সূত্র : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমাদের কি আসিফ নজরুলের পদত্যাগ চাওয়া উচিত নয়, প্রশ্ন সারজিসের

৬ দিনের রিমান্ডে মমতাজ

আরও এক বিচারপতিকে অপসারণ

মেয়র নির্বাচন করবেন সাদিক কায়েম ও হাসনাত? 

গাজার ‘সন্তানরা ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে’

আখাউড়া বন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি শুরু

কুষ্টিয়ায় চাহিদার থেকে বেশি কোরবানির পশু

খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৫ জনকে পুশইন করল বিএসএফ

স্পর্শকাতর বিষয়গুলো এড়িয়ে চলার আহ্বান জামায়াত আমিরের

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ / বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোকে ঝুঁকিতে ফেলছে অন্তর্বর্তী সরকার 

১০

এক মাস বিচারকশূন্য আদালত, বিচার প্রার্থীদের ভোগান্তি 

১১

ইশরাকের শপথ ইস্যু / হাইকোর্টের রায়ের পর সারজিসের স্ট্যাটাস

১২

সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকাসহ ৭ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা

১৩

বৃষ্টিতেও চলছে ছাত্রদলের শাহবাগ মোড় অবরোধ 

১৪

নাম বদলের দাবিতে আজও অনশনে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা

১৫

উত্তেজনার মধ্যে চীন-আফগান-পাক বৈঠকে উঠে এল সাতটি বিষয়

১৬

ইশরাককে শপথ পড়াতে বাধা নেই : হাইকোর্ট

১৭

পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে পুশইন

১৮

দুই ইসরায়েলিকে হত্যার পর ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দেন ওই যুবক

১৯

মানিকগঞ্জের আদালতে মমতাজ

২০
X