কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জাতিসংঘে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি

মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীর বর্বরতা। ছবি :সংগৃহীত
মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীর বর্বরতা। ছবি :সংগৃহীত

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকারকর্মী ও সংগঠন। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরভিত্তিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স (জিএইচআরডি) জেনেভায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চলমান জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৪তম অধিবেশন চলছে। আর এমন সময়ে ঐতিহাসিক এ দাবি তুলে সামবেশ করছেন মানবাধিকারকর্মীরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বর্বরতম এ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও গণহত্যা বিষয়ে সচেতনতার জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর বর্বরতার কথা তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে অরগানাইজেশন অব ইস্টার্ন ক্যারিবিয়ান স্টেটস (ওইসিএস), বেলজিয়াম ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা সচেতনতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের মতামত প্রদান করেন।

বিশেষজ্ঞদের মধ্যে শুরুর বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্সের চেয়ারম্যান শ্রদ্ধানন্দ সিতাল। তিনি ১৯৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বের এমন গণহত্যার বন্ধে আর বৈশ্বিক প্রতিজ্ঞা কখনও হয়নি বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এমন প্রতিজ্ঞার পরও রুয়ান্ডা, বলকান অঞ্চল এবং বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এমন গণহত্যা বারবার ঘটছে। এ সময় তিনি গণহত্যার বিষয়টিকে স্বীকৃতি দেওয়া ও এই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিকে এনজিও ও জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনার আহ্বান জানান।

তিনি ছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডাচ রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মী হ্যারি ভন বোমেল। তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তানের গণহত্যার প্রমাণ খুঁজতে চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশে এসেছিলেন। পাকিস্তানের গণহত্যার শিকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিবার ও এ নিয়ে গবেষণারত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন। এসব অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার বিস্তৃত প্রমাণ রয়েছে। ভবিষ্যতে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সচেতনতা বাড়াতে এই ফলাফল ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে নেওয়া হবে। এতে প্রবাসীদেরও জড়িত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের জেনেভা কার্যালয়ে নিযুক্ত উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক উপস্থিত ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীর বর্বরতায় হতাহত, নির্যাতিত এবং বাস্তুচ্যুত বাংলাদেশিদের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এ অপরাধের মাত্রা ভয়াবহ হলেও এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলেনি। এটি বাংলাদেশের জন্য যন্ত্রণাদায়ক। পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনকে তিনি ‘আপত্তিকর এবং অগ্রহণযোগ্য’ বলেও উল্লেখ করনে তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মদ পানে মহা সর্বনাশ, ৬ জনের মৃত্যু

বড় ভাই মির্জা ফখরুলের মতোই কবিতা দিয়ে শুরু করলেন মির্জা ফয়সল

সোনারগাঁয়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন

মা ইলিশ রক্ষায় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার টহল

ন্যাশনাল পিপলস যুব পার্টির মাদকবিরোধী আলোচনা সভা

নিউমার্কেটে চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, নগদ টাকাসহ গ্রেপ্তার ১

আন্দোলনরত শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করায় ছাত্রশিবিরের নিন্দা

শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংকের বিবৃতি

কক্সবাজার আদালতে বিচারকের মোবাইল-মানিব্যাগ চুরি

পাঠ্যপুস্তক ছাপার দায়িত্ব হস্তান্তর ‘মাথাব্যথায় মাথা কাটার মতো সিদ্ধান্ত’ : টিআইবি

১০

বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ে ভারতকে হারাল অস্ট্রেলিয়া

১১

মৌসুমি বায়ুসহ আগামী ৪ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস

১২

চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা

১৩

এবার উপদেষ্টাদের নিয়ে মুখ খুললেন সামান্তা শারমিন

১৪

ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক

১৫

ছক্কা মেরে ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা!

১৬

উপদেষ্টা রিজওয়ানাকে এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি

১৭

একটি দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় : কফিল উদ্দিন 

১৮

চাকসু নির্বাচনে নতুন প্রত্যয়ে ছাত্রদল

১৯

বন্দর ব্যবসায়ী নেতারা / মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধের ষড়যন্ত্রের অংশ

২০
X