রাশিয়ায় থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বাজেয়াপ্তের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারির অনুমোদনে সই করেছেন তিনি। রাশিয়ান সরকারের আইনি পোর্টালে ডিক্রিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে অভিযানের নামে রাশিয়ার হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্ব ক্ষিপ্ত হয়। তারা রাশিয়াকে চাপে ফেলতে বিভিন্ন খাতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
ইউক্রেনের মিত্র দেশে থাকা রাশিয়ার বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং বিপুল পরিমাণে স্থগিত অবস্থায় রাখা হয়েছে। বহু রুশ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ব্যাংক লেনদেন ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছে। যে কোনো সময় রাশিয়ার বাইরে থাকা সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার হুমকিও আছে।
এর ফলে ক্ষতি মোকাবিলার উপায় খুঁজছে রাশিয়া। রুশ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হলে তার বিপরীতে মার্কিন সম্পদ জব্দ করে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ব্যবহার করতে চান পুতিন।
পুতিনের সই করা ডিক্রিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বেআইনিভাবে মস্কোর সম্পদ বাজেয়াপ্তের চেষ্টা করছে। যা অগ্রহণযোগ্য। রাশিয়ান সরকারের একটি বিশেষ কমিশন মার্কিন সম্পদ বা সম্পত্তি শনাক্ত করবে। রাশিয়ায় থাকা যুক্তরাষ্ট্রের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, সিকিউরিটিজ, রাশিয়ান প্রতিষ্ঠানে থাকা শেয়ার এবং সম্পত্তির অধিকার মস্কোর রয়েছে।
এ ডিক্রি বাস্তবায়নের সুবিধার্থে রাশিয়ার আইনে সংশোধনী আনা হবে। এ জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। খুব শিগগির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি হামলার পর থেকে ইউক্রেন এবং তার অনেক মিত্র দেশের বাইরে স্থগিত অবস্থায় থাকা ২৬০ বিলিয়ন ডলারের রুশ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু ইউরোপীয় কর্মকর্তারা আইনগত এবং আর্থিক স্থিতিশীলতার উদ্বেগের উল্লেখ করে তা প্রতিরোধ করেছেন।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এপ্রিল মাসে ইউক্রেনীয়দের জন্য অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সুযোগ পুনর্নির্মাণ আইনে সই করেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্পদের প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার বাজেয়াপ্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আইনটি ইউক্রেনের জন্য একটি মার্কিন সহায়তা প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
টানা তিন বছর পরাশক্তি রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্র ইউক্রেন। আর এর পেছনে সবচেয়ে বড় মদদদাতা হিসেবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও সামরিক জোট ন্যাটো।
মন্তব্য করুন