কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

‘ইসলাম অত্যন্ত আধুনিক ও উদার ধর্ম’ লোকসভায় কংগ্রেস নেতা

কংগ্রেস নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি : সংগৃহীত
কংগ্রেস নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের লোকসভায় দাড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ইসলাম অত্যন্ত আধুনিক ও উদার নৈতিক ধর্ম। বুধবার লোকসভায় আনিত ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, 'ওয়াকফ সংশোধনী বিল মুসলমানদের তাদের ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের অধিকার লঙ্ঘন করবে।’

তিনি উল্লেখ করেন, নামাজ আদায়ের জন্য কাউকে মসজিদে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় না, অথচ কেন্দ্রের আনা ওয়াকফ সংশোধনী বিল মুসলিমদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই বিল শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অধিকার ক্ষুণ্ন করছে না, বরং রাজ্যের ক্ষমতাও খর্ব করছে। তার মতে, এই বিল সংবিধানবিরোধী এবং ধর্মীয় সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রে মুসলিমদের অধিকার খর্ব করার উদ্দেশ্যেই এটি আনা হয়েছে।

এরপর ভরতীয় সংবিধানের ২৬ নং ধারার উল্লেখ করে কংগ্রেস নেতা দাবি করেন, ওয়াকফ ধর্মীয় এবং দাতব্য একটি প্রতিষ্ঠান। এই আবহে মুসলিমদের নিজেদের ধর্মীয় বিষয় পরিচালনা করার অধিকার রয়েছে। কারণ ওয়াকফ সম্পত্তির মালিক আল্লাহ। এই বিল মুসলিমদের অধিকার খর্ব করছে। তাই এটা সংবিধানের ২৬ নং ধারাকে লঙ্ঘন করছে।

তিনি বলেন, হিন্দু আইন ব্রিটিশ আইনকে অনুসরণ করে এবং মুসলিম আইন কোরআন ও নবীর আইন অনুসরণ করে।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমি বলতে চাই, তৃণমূল কংগ্রেস এই ওয়াকফ সংশোধী বিলের বিরোধিতা করছে। আমার বক্তব্যের মূল স্পিরিট হল - তু না হিন্দু বনেগা, না মুসলমান বনেগা, ইনসানকি অউলাদ হ্যায়, ইনসান বনেগা (না হিন্দু হবেন, না মুসলিম হবেন। মানুষের সন্তান, মানুষ হতে হবে)।’

সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওয়াকফ সম্পত্তি মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাসের অংশ। এটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় বরং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামে কেউ এককভাবে কিংবা জামাতে নামাজ পড়তে পারেন, তবে জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য ইমামের নেতৃত্ব প্রয়োজন। ইসলামে কারো মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা নেই এবং এটি অত্যন্ত উদার ধর্ম।

তিনি আরও বলেন, যে মুহূর্তে একজন ব্যক্তি মসজিদে নামাজ আদায় করেন, সেই মসজিদটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায় এবং তা একটি ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। মসজিদের সম্পত্তি ধর্মীয় কারণে উৎসর্গ করা হয় এবং এটি আল্লাহর সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।

সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত থাকলেও বিরোধীরা এই বিলকে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করছেন।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৪৯তম বিশেষ বিসিএসে অংশ নেননি ৪১ শতাংশ পরীক্ষার্থী 

মাদাগাস্কারের ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী

কালবেলার সাংবাদিকের বাবার মৃত্যুতে দোয়া মাহফিল

জুলাই আন্দোলনে সামনের কাতারে ছিল তা’মীরুল মিল্লাতের ছাত্ররা : ভিপি সাদিক

রাকিবের গোলে হংকংয়ের মাঠে বাংলাদেশের ড্র

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে বাংলাদেশি কর্মীর মৃত্যু

হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়ল

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে মিয়ানমার নাগরিক নিহত

গাজা শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করল যুক্তরাষ্ট্র-মিসর-কাতার-তুরস্ক

নাগরিক সংলাপে বক্তারা / বিআরটিএর সেবা বেসরকারি খাতে দেওয়া উচিত হবে না 

১০

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, চারজনই ঢাকার

১১

বিটিভিতে সরাসরি দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচ

১২

নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করছে রাজউক : চেয়ারম্যান

১৩

বিস্ফোরক অভিযোগ আবু ত্বহার স্ত্রীর

১৪

পিকে হালদারের সহযোগী তাজবীরের জামিন

১৫

চট্টগ্রামে মিলল বিপুল জাল টাকা

১৬

পেনাল্টিতে গোল হজম করে বিরতিতে হামজারা

১৭

১৭ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ২৯ জেলায় বৃষ্টির আভাস

১৮

মিরপুরের আগুনের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১৯

নভেম্বরে গণভোট চাওয়াদের কোনো মাস্টারপ্ল্যান আছে কিনা, প্রশ্ন রিজভীর

২০
X