কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

লেবাননে স্থল অভিযান চালিয়ে হুমকির মুখে ইসরায়েলি বাহিনী

ইসরায়েলি বাহিনীর সৈন্যরা। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলি বাহিনীর সৈন্যরা। ছবি : সংগৃহীত

লেবাননে স্থল অভিযান চালিয়ে ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। একদিকে যখন ইসরায়েলি সেনারা অভিযানের জন্য লেবাননে ঢুকছে তখনই অন্যদিকে ফাঁদ পেতে ইসরায়েলি সেনাদের দলগুলোকে আক্রমণের মুখে ফেলছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্রমাগত রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও চালিয়ে যাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলি বাহিনী প্রযুক্তি ও মার্কিন অস্ত্রের বলে শক্তিশালী অবস্থানে থাকলেও স্থল অভিযানে লেবাননের মাটিতে তারা বিপাকে পড়বে। বলা হচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা ট্যাংক অথবা বিমান থেকেই ভালো যুদ্ধ পরিচালনা করতে পারে। স্থল অভিযানে তাদের কোনো রকম আশ্রয় ছাড়া জীবন বাঁচানোর জন্যই দৌড়াতে হবে। এরআগে ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে একপ্রকার পিছু হটতে বাধ্য হয় ইসরায়েলি সেনারা।

স্থল অভিযান শুরুর পর দক্ষিণ লেবাননের ওদাইশেহ শহরে ঢোকার মুখে হিজবুল্লাহর প্রবল প্রতিরোধে পিছু হটতে বাধ্য হয় ইসরায়েলি সেনারা। এ ছাড়াও সীমান্তের অন্যান্য স্থানে গেরিলা কায়দায় ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে লেবাননের যোদ্ধারা। এতে আহত সেনাদের নিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় নেতানিয়াহু বাহিনী।

এদিকে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে প্রবল সংঘাতের মধ্যেই লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, ‘ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলিগুলোতে ৪টি খুবই ভয়ংকর হামলা চালানো হয়েছে এবং একটি হামলা হয়েছে চুয়েফাত এলাকায়।

স্যাটেলাইটের ছবিতে বার্জ আল-বারাজনেহ, হারেত হারিক ও চুয়েফাত আল-আমরুসিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হওয়ার ছবি ফুটে উঠেছে। শনিবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে স্থলাভিযানে তারা ৪৪০ হিজবুল্লাহ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। ধ্বংস করেছে হিজবুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে প্রায় দুই হাজার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যস্থল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইন্দোনেশিয়ায় আন্তঃধর্মীয় সম্মেলন / অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন ও সম্প্রীতিময় আন্তঃধর্মীয় সংলাপে গুরুত্ব

পেনশন নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বড় সুখবর

অস্ত্র মামলায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড

চাকসুতে ১০ পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা

চট্টগ্রামকে ক্লিন সিটি করতে নতুন ল্যান্ডফিল্ড কেনার উদ্যোগ চসিকের

রাত নামলেই লুট হচ্ছে কীর্তনখোলা নদীর বেড়িবাঁধের ব্লক

পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা গিরীধারী লালের পরলোকগমন

‘বাংলাদেশ-চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে’

পাল্টে গেল সমীকরণ, এখন যেভাবে সুপার ফোরে যেতে পারে বাংলাদেশ

নির্বাচনী দায়িত্বে অবহেলা ও অপরাধের সাজা বাড়ছে

১০

ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতালের অনন্য অর্জন

১১

বিসিএস পরীক্ষা / সেনানিবাস এলাকায় প্রবেশে বিশেষ নির্দেশনা

১২

বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি, কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ

১৩

কক্সবাজারে ৩১৭ মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

১৪

জুলাই ঘোষণার আইনি ভিত্তি দিয়েই আগামী নির্বাচন হতে হবে : গোলাম পরওয়ার 

১৫

সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে গবেষণা ও উদ্ভাবনী সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে

১৬

এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ কবে, জানাল শিক্ষা বোর্ড

১৭

তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে হবে আগামীর বাংলাদেশ : মিফতাহ্ সিদ্দিকী

১৮

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতেই হবে : ফয়জুল করীম

১৯

শেষ ওভারের ঝড়ে আফগানদের বড় সংগ্রহ, শঙ্কায় বাংলাদেশ

২০
X