কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ট্রাম্পের গাজা ইস্যুতে আরব নেতাদের পাল্টা প্রস্তাবে একমত ওআইসি-পশ্চিমারা

ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশের পতাকা। ছবি : সংগৃহীত
ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশের পতাকা। ছবি : সংগৃহীত

ট্রাম্পের গাজা স্থানান্তরের বিপক্ষে পাল্টা প্রস্তাত দিয়েছে আরব নেতারা। তাদের এ প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে আরগানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) এবং বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ।

শনিবার (০৮ মার্চ) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা পুনর্নির্মাণের জন্য সম্প্রতি উন্মোচিত আরব পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়েছে আরগানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) এবং বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তারা গাজা পুনর্নির্মাণের জন্য ৫৩ বিলিয়ন ডলারের এই পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই পরিকল্পনাটি গাজার পুনঃনির্মাণের জন্য একটি বাস্তবসম্মত পথ প্রদর্শন করে এবং এটি বাস্তবায়িত হলে– গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের জন্য সংকটজনক জীবনযাত্রার অবস্থা দ্রুত এবং টেকসইভাবে উন্নত হবে।

এতে আরও বলা হয়, হামাস আর গাজা শাসন করতে পারবে না এবং ইসরায়েলের জন্য আর হুমকি হয়ে থাকতে পারবে না। এছাড়া ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কেন্দ্রীয় ভূমিকা এবং তার সংস্কারের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য দেশগুলো সমর্থন জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনাটি মিসর দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল এবং চলতি মাসে কায়রোতে অনুষ্ঠিত আরব লিগের শীর্ষ সম্মেলনে আরব নেতারা এটি গ্রহণ করেছেন।

শনিবার ৫৭ সদস্যবিশিষ্ট ওআইসি নেতারা জেদ্দায় একটি জরুরি সভায় এই পরিকল্পনাটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন। মুসলিম বিশ্বের প্রতিনিধিত্বকারী এই সংগঠন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং আঞ্চলিক তহবিল প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত এই পরিকল্পনার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করার আহ্বান জানিয়েছে।

আরব সমর্থিত এই পরিকল্পনাটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজার দখল সম্পর্কিত প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবে গাজা উপত্যকার জনসংখ্যা কমানোর এবং অঞ্চলটি পুনর্গঠনের জন্য মার্কিন নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বলা হয়েছে। তার এ প্রস্তাবকে জাতিগত নিধন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই আরব পরিকল্পনাটি ৩টি প্রধান পর্যায়ে বিভক্ত : অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা, পুনর্নির্মাণ এবং শাসন ব্যবস্থা। প্রথম পর্যায়টি প্রায় ছয় মাস স্থায়ী হবে, পরবর্তী দুটি পর্যায় একত্রে চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। পরিকল্পনার লক্ষ্য গাজাকে পুনর্গঠন করা, শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘জামায়াত ক্ষমতায় এলে জুলাই শহীদদের জাতীয় মর্যাদা দেওয়া হবে’

শুধু মানুষ নয়, পশুপাখিও চিন্তা করে যুক্তি দিয়ে

শাহবাগে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ‘রাজনৈতিক মব’ হয়েছিল

আবারও ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইসরায়েলি বিমানবন্দর বন্ধ

‘বিএনপি নির্বাচিত হলে প্রতিটি ঘরে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে’

দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দগ্ধ রোমের দুই পুলিশ

এক দেয়াল ও ১৪ দরজা-জানালা রং করতে ৬৫৮ মিস্ত্রি!

এনসিসি জাতীয় কোনো ধারণার সঙ্গে একমত হইনি : সালাহউদ্দিন

সাদিয়ার স্বপ্ন পূরণে পাশে পারভেজ মল্লিক

‘জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে আগামীতে কাদের সেবা করার সুযোগ দেবে’

১০

শহীদ শিশু রিয়া গোপ হত্যার বিচারের আশ্বাস সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার

১১

পাঠ্যপুস্তকে ভুল সংশোধনে শিক্ষকদের পরামর্শ চাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

১২

ঢাবির হল থেকে ছাত্রলীগ নেতা আটক 

১৩

বিএনপি নেতা প্রকৌশলী সেলিমের নেতৃত্বে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১৪

মাহমুদুর রহমানের মায়ের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোক

১৫

শেষ ওয়ানডের আগে শঙ্কায় শান্ত

১৬

তারা কেমন পিআর পদ্ধতি চায়, প্রশ্ন নজরুল ইসলামের

১৭

হাসিনার স্বজনরা গ্রেপ্তার না হওয়ার কারণ জানালেন আলাল

১৮

কেন ব্রিকস সম্মেলনে যাচ্ছেন না শি জিনপিং

১৯

দেশে সবচেয়ে বেশি গাছ কাটা হয়েছে কোথায়?

২০
X