কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজায় কেউই এখন ‘ঠিকমতো খাবার পাচ্ছে না’

চরম দুঃসহ অবস্থার মধ্যে রয়েছে গাজাবাসী। ছবি: রয়টার্স
চরম দুঃসহ অবস্থার মধ্যে রয়েছে গাজাবাসী। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজা উপত্যকায় চরম খাদ্য সংকট চলছে। মানুষ প্রতিদিন ন্যূনতম খাদ্যের জন্যও সংগ্রাম করছে। গাজায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক স্যাম রোজ এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি গাজা থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরে আসা স্যাম রোজ বলেন, ‘সত্যিই কেউই এখন পর্যাপ্ত খাদ্য পাচ্ছে না।’

তিনি জানান, শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার ভয়াবহভাবে বেড়েছে। মানুষ প্রতিদিন চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সামান্য খাবারের খোঁজ করছে, এবং দীর্ঘ সময় ধরে খাদ্যহীন অবস্থায় থাকতে বাধ্য হচ্ছে।

রোজ বলেন, ‘তারা এখন দুর্ভিক্ষে আছে কি না, সেটা আলোচনার বিষয় নয়—তারা চরম দুঃসহ অবস্থার মধ্যে রয়েছে এবং নিজেরা এর কিছুই পরিবর্তন করতে পারছে না।’

বিশেষ করে শিশুদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি জানান, জীবনের প্রথম দুই বছরে যদি তারা প্রয়োজনীয় পুষ্টি না পায়, তাহলে তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে, ত্বক শুকিয়ে যায় এবং তারা মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়।

স্যাম রোজ বলেন, ‘গত ১৬ মাস ধরে আমরা গাজায় এমন করুণ দৃশ্যই দেখে যাচ্ছি।’

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে সরাসরি দায়ী করেছে হামাস। এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি এই হামলাকে ‘ফিলিস্তিনি নির্মূল যুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা, রাফাহ, খান ইউনুস, দেইর আল-বালাহ ও গাজা সিটির তুফফাহ এলাকায় বর্বর গণহত্যা চালিয়েছে। তারা বলেছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার এই হামলা চালিয়ে যেতে পারছে ট্রাম্প প্রশাসনের রাজনৈতিক ও সামরিক সমর্থনের কারণেই।

বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকারের হাতে সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সরাসরি দায়ী।’

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর শুরু হওয়া যুদ্ধে কমপক্ষে ৫০ হাজার ৬৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৩৮ জন আহত হয়েছেন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজারো নিখোঁজ ব্যক্তিকেও মৃত বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনের বেশিকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আডা লাভলেস প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা

জীবগাঁও কলেজে শতভাগ ফেল, অধ্যক্ষ বললেন ‘হতাশাজনক’

আম্মু হাসপাতালে, সবাই দোয়া করবেন : তমা মির্জা

লক্ষ্মীপুরে কালবেলার ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

দেশের ইতিহাসে এর চেয়ে স্বচ্ছ বিচার কখনো হয়নি : অ্যাটর্নি জেনারেল 

রংপুরে ৩য় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বক্তারা / অনুসন্ধান করে ঘটনার ভেতরের সত্য প্রকাশ করে ‘কালবেলা’ 

৩ ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি

শিক্ষার্থী চারজন, পরীক্ষা দেওয়া দুজনের কেউ পাস করেনি

ধারাবাহিকের মূল ভূমিকায় হেদায়েত উল্লাহ তুর্কী 

রাকসু নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭০ শতাংশ

১০

খতমে নবুওয়তের চেতনায় সত্য ও ন্যায়ের পথে এগিয়ে যাক কালবেলা : মুহিউদ্দীন রাব্বানী

১১

এইচএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন করবেন যেভাবে

১২

চট্টগ্রামে আগুন ৪ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, ২৫ শ্রমিককে উদ্ধার

১৩

চীনে ৩০ পাদরি গ্রেপ্তার, বড় অভিযানের আশঙ্কা

১৪

মোস্তারির অর্ধশতকে অজিদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লড়াকু সংগ্রহ

১৫

‘ভর্তির পরে সবার বিয়ে হয়ে গেছে, তাই কেউ পাস করেনি’

১৬

সর্বপ্রথম কোথায় আজান হয়েছিল, কার কণ্ঠে?

১৭

নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের পথ মসৃণ হবে : মির্জা ফখরুল

১৮

রাকসু নির্বাচন ঘিরে নানা অভিযোগ ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থীর

১৯

যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত, আন্দোলনরত শিক্ষকদের বড় কর্মসূচি ঘোষণা

২০
X