যুক্তরাষ্ট্রের কান্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে উপজীব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) একাডেমিক প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
মঙ্গলবার (০১ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূল প্রতিপাদ্য ‘বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবির সাবেক উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ বলেন, আমাদের মূল উপজীব্য সবাইকে সাথে নিয়ে চলা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি সমাজ গঠন। আমরা নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা অর্জনে পুরো জাতিকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। শুধু সরকারের ওপর নির্ভর না করে সমাজকে সাথে নিয়ে আমাদের চলতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যে পথ পেরিয়ে এসেছি তা বহু মানুষের শ্রম, ঘাম ও রক্তের ফসল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বাস করে যুগে যুগে বহু মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছে। এ ছাড়াও জাতীয় পরিচয় নির্ধারক বিভিন্ন ঐতিহাসিক দিনগুলোকে মুখোমুখি দাঁড় না করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, বিগত সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। আমরা অতীতের ট্রমা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
অনুষ্ঠানে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় মুক্তচিন্তা, বুদ্ধি, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর মুক্তচিন্তার দ্বারা উন্মোচিত হয়েছে। যখনই বাংলাদেশ সংকটে পড়ে, তখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জেগে ওঠে।
মন্তব্য করুন