কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৩, ০৯:২৯ পিএম
আপডেট : ০৮ জুন ২০২৩, ১১:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সঙ্গী ছাড়াই গর্ভবতী কুমির!

সঙ্গী ছাড়াই গর্ভবতী কুমির!

কোস্টারিকায় পুরুষ কুমির ছাড়াই প্রথমবারের মতো একটি স্ত্রী কুমির নিজেকে গর্ভবতী করেছে! কুমিরটির তৈরি করা ভ্রুণের সঙ্গে তার নিজের ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ জিনগত মিল রয়েছে।

‘ভার্জিন বার্থ’এর ঘটনা প্রাণিদের ভেতর এটিই নতুন নয়। এর আগে পাখি, মাছ ও অন্যান্য সরীসৃপের ভেতর এমনটা দেখা গেছে। তবে কুমিরের এমন প্রজনন এটাই প্রথম। এমন বৈশিষ্ট্য পূর্বপুরুষের বিবর্তনের ইতিহাস থেকে কুমিরে এসেছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। সুতরাং ধারণা করা হচ্ছে কুমিরের দূরতম পূর্বপুরুষ- ডায়নোসররাও স্ব-প্রজননে সক্ষম ছিল।

বায়োলজি লেটার্স নামের রয়্যাল সোসাইটির এক জার্নালে সম্প্রতি এ নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৮ সালে কোস্টারিকার 'পার্ক রেপটালিয়া'য় ১৮ বছর বয়সী একটি স্ত্রী কুমির ডিমটি পাড়ে। এসময় ভেতরে সম্পূর্ণ ভ্রুণ গঠিত হয়েছিল, কিন্তু মৃত হওয়ায় সেটি আর ফোটেনি। দুই বছর বয়সে কোস্টারিকার সরীসৃপের এই চিড়িয়াখানায় আমেরিকান স্ত্রী কুমিরটিকে আনা হয়। সেই থেকে কুমিরটিকে আলাদা ছিল।

বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সরীসৃপ সংরক্ষণ সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেকে কর্মরত বিজ্ঞানী ড. ওয়ারেন বুথের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ড. ওয়ারেন ১১ বছর ধরে তিনি ‘কুমারী জন্ম’ বা বৈজ্ঞানিক ভাষায় পার্থেনোজেনেসিস নিয়ে গবেষণা করছেন।

পরবর্তীতে ড. বুথ ভ্রুণটি পরীক্ষা করে দেখেন। তিনি ভ্রুণটির সাথে তার মায়ের ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ জিনগত মিল খুঁজে পান। এরপর তিনি নিশ্চিত করেন, ভ্রুণ গঠনের এই প্রক্রিয়ায় কোনো পুরুষ কুমিরের জিন ছিল না।

বিবিসিকে তিনি জানান, এই ফলাফলে তিনি মোটেও বিস্মিত হননি।

তিনি বলেন, আমরা এর আগে হাঙর, পাখি, সাপ, টিকটিকির ভেতর এমনটা দেখেছি। কুমিরে ক্ষেত্রে এমনটা এর আগে দেখা যায়নি।

তার মতে, মানুষ যখন ঘরে সাপ পালন শুরু করল তখন পার্থেনোজেনেসিসের সংখ্যা বেড়ে যায়। কিন্তু সাধারণত মানুষ বাসায় কুমির পালন করে না। তাই কুমিরের ব্যাপারটা আগে এভাবে সামনে আসেনি।

তিনি বলেন, সাধারণত প্রাণীরা যখন সংখ্যায় কমতে থাকে এবং তাদের প্রজাতি বিলুপ্তির দশা হয় তখন পার্থেনোজেনেসিস ঘটে। ধারণা করা হয়, যখন পরিবেশে পরিবর্তনের কারণে ডায়নোসরদের কিছু প্রজাতি বিলুপ্তির উপক্রম হয়েছিল তখনো এমনটা ঘটেছিল।

বিভিন্ন প্রাণিদের ভেতর পার্থেনোজেনেসিস প্রক্রিয়াটি বহু আগে থেকে দেখা যায়। এর থেকে বোঝা যায় এটি এমন একটি প্রাচীন প্রক্রিয়া যেটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। সেই সুবাদে ধরে নেওয়া যায় যে, কিছু প্রজাতির ডায়নোসররা পার্থেনোজেনেসিস পদ্ধতিতে নিজেরা নিজেদের বংশবৃদ্ধি করতো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমি ভোট না, দোয়া চাই : অপু

বার্সেলোনাকে টপকে গেল রিয়াল মাদ্রিদ

গানম্যানের জন্য আরও যাদের আবেদন

হাদির হত্যাকারীদের নামে ‘ঘৃণা স্তম্ভ’ উদ্বোধন 

চ্যাটজিপিটির সাহায্যে নকল করার সময় পরীক্ষার্থী আটক

নারী সঙ্গীর বাসায় গুলিবিদ্ধ হন এনসিপি নেতা, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

বগুড়া-৭ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র উত্তোলন

বিধবা রাজিয়ার পাশে চট্টগ্রামের ডিসি

‘ভারতীয় প্রক্সি বাহিনীর’ ঘাঁটিতে পাকিস্তানের অভিযান, নিহত ৯

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিয়েই মনোনয়ন পেলেন এহসানুল হুদা

১০

‘প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে লুটের টাকায় টিভি-ফ্রিজ কেনেন নাইম’

১১

হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হচ্ছে অসাধারণ ফিচার, যেসব সুবিধা পাবেন 

১২

সাংবাদিক নূরুল কবিরের বক্তব্য অসত্য : জামায়াত

১৩

লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন এবিএম নিজান

১৪

কোর্ট কর্মচারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

১৫

খুলনা ক্লাব লিমিটেড নির্বাচন অনুষ্ঠিত

১৬

মুক্তিযুদ্ধকে হেয় প্রতিপন্নের চেষ্টা নিন্দনীয় : ইশরাক

১৭

ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা, নিহত ১৬

১৮

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আজহারুল ইসলাম মান্নানের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ

১৯

যে নম্বর থেকে কল এলেই বুঝবেন বিপদে পড়তে যাচ্ছেন

২০
X