কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২২ পিএম
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নগদের ২৪৭৮১ পরিবেশক, এজেন্ট ও কর্মকর্তা বরখাস্ত

নগদের ২৪৭৮১ পরিবেশক, এজেন্ট ও কর্মকর্তা বরখাস্ত
নগদের লোগো। ছবি : সংগৃহীত

বড় ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রদানকারী (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ লিমিটেডর’ ওপর। প্রতিষ্ঠানটিতে ভুয়া পরিবেশক ও এজেন্ট দেখিয়ে আর্থিক জালিয়াতি এবং অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক অর্থ বা ই-মানি তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে হিসাব মিলছে না ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকার। এ কারণে বরখাস্ত করা হয়েছে নগদ লিমিটেডের ৪১ পরিবেশক, ২৪ হাজার ৯৭ এজেন্ট ও ৬৪৩ জন বিক্রয় কর্মকর্তাকে।

প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া পরিবেশকের মাধ্যমে ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে এবং ব্যাংকে জমা টাকার অতিরিক্ত ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি তৈরি করেছে।

এটাকে ডিজিটাল জালিয়াতি বলা হলেও এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি। কারণ, মামলা কে করবে তা নিয়ে এক মাস ধরে ডাক অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।

এ ঘটনায় ইতোমধ্যে নগদ লিমিটেডের ৪১ পরিবেশক ও ২৪ হাজার ৯৭ এজেন্টকে বরখাস্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিযুক্ত প্রশাসক। পাশাপাশি ৬৪৩ জন বিক্রয় কর্মকর্তাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া শীর্ষপর্যায়ের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডাক অধিদপ্তরের কাছে সুপারিশ করেছেন নগদের প্রশাসক।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নগদ লিমিটেডের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ এই এমএফএস সেবার উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই ব্যবসা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এটির পরিচালনায় প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগের একাধিক সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তি যুক্ত থাকায় হিসাব খোলা থেকে শুরু করে সরকারি ভাতা বিতরণে একচ্ছত্র সুবিধা পায় নগদ। ফলে বড় ধরনের অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২১ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশাসক বসায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর প্রশাসক দলের পরিদর্শনে বড় ধরনের ডিজিটাল আর্থিক জালিয়াতি ধরা পড়ে। সে জন্য গত ১৮ নভেম্বর আইনি ব্যবস্থা নিতে ডাক অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেন প্রশাসক। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ইতোমধ্যে এ বিষষে একাধিক সভাও হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘আমরা নগদের ঘটনা সম্পর্কে অবগত। এ ঘটনায় কে মামলা করবে, সেই সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ডাক অধিদপ্তরের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। আইনজীবীর মতামত নেওয়া হচ্ছে। এরপরই সিদ্ধান্ত হবে।’

নথিপত্র পর্যালোচনায় উঠে আসে, কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই নগদে ৪১ পরিবেশকের মাধ্যমে ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয়েছে। মূলত ই-মানির বিপরীতে নগদ টাকা তুলে নেওয়া হয়। এ ডিজিটাল আর্থিক জালিয়াতির ঘটনায় ৪১ পরিবেশকের পাশাপাশি ২৪ হাজার ৯৭ এজেন্টকে বরখাস্ত করেন নগদে নিযুক্ত প্রশাসক। ৩ হাজার ৮৩১টি মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট বা ব্যবসায়িক হিসাব বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া নগদের ৬৪৩ বিক্রয় কর্মকর্তাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইফাদ গ্রুপের গৌরবময় ৪০ বছর উদ্‌যাপন, সমৃদ্ধির পথে একসাথে

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১২ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

জুতা পরে জানাজার নামাজ পড়া কি জায়েজ?

প্রতিদিনের সাধারণ যে অভ্যাসেই কমে যাচ্ছে আপনার মোবাইলের আয়ু

যে গ্রামে বসবাস করলেই মিলবে ২৭ লাখ টাকা!

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে তুমুল সংঘর্ষ

‘শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের শহীদ পরিবারকে সহযোগিতা করবে সরকার’

অসুস্থ বিএনপি নেতা ডা. রফিকের খোঁজ নিতে বাসায় জোনায়েদ সাকি

আফগানদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে বাংলাদেশের সিরিজ হার

১০

যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল ম্যাচ শেষে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৪

১১

চট্টগ্রামে কনসার্টে গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১

১২

চিহ্নিত ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠানের ওপর দেওয়া উচিত নয় : বিএনপি

১৩

জবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের নেতৃত্বে ইমন-সোহান

১৪

এনসিপির ‘পলিসি ও রিসার্চ উইং’ গঠন, দায়িত্ব পেলেন যারা

১৫

নড়াইলে সাংবাদিকদের মিলনমেলা

১৬

‘তিন মাসের মধ্যে ৬ লেনের কাজ দৃশ্যমান হবে’

১৭

শাবিপ্রবির ২৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত

১৮

ওমরজাইয়ের বোলিং তোপে বিপদে বাংলাদেশ

১৯

প্রবীণদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে : টুকু

২০
X