কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৬:১০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

যান্ত্রিকতার যুগে বিলুপ্ত প্রায় গরু দিয়ে হাল চাষ

গরু দিয়ে চলছে হাল চাষ। ছবি : কালবেলা
গরু দিয়ে চলছে হাল চাষ। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এ দেশের বেশিরভাগ মানুষের পেশা কৃষি। কৃষির ওপর নির্ভর করে চলে এ দেশের অর্থনীতি। একসময় গরু দিয়ে এ দেশে হাল চাষ করা হতো। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় পালটে গেছে চিত্র। যান্ত্রিক ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করায় গরুর হাল এখন বিলুপ্ত প্রায়।

আজ (৭ জুলাই) রবিবার সকালের দিকে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ছিট রাজীব গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম (মুন্সি) কে গরু দিয়ে হাল চাষ করতে দেখা যায়। হাল চাষের ছবি তুলতে দেখে তিনি গরুর হাল দাড় করে বলেন আমি একজন জাত (হালুয়া) কৃষক, অতীতের গরু দিয়ে হাল চাষের গল্প বলতে থাকেন।

কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৬৫ বছর বয়সী কৃষক সাইদুল মুন্সি বলেন, আমি ১২ বছর বয়স থেকেই গরুর হাল দিয়ে জমি চাষ করি। আগে ১২-১৩ বিঘা জমি গরু দিয়ে চাষ করতাম। এখন বয়সের কারণে সম্ভব হয় না। এর আগে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে বৃষ্টির শবদের সঙ্গে চাষিদের ভাওয়াইয়া গানের সুরে পুরো মাঠ মুখরিত হতো। সবাই গরু নিয়ে মাঠে গিয়ে চাষ দিতাম।

তিনি বলেন, এখন সব গৃহস্থ গরুর হাল বাদ দিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করে। কারণ যে দিন জমি চাষ কর হয় ঐ দিনেই ক্ষেত লাগানো যায়। তবে গরুর হাল দিয়ে জমি চাষ করতে খরচও যেমন বেশি লাগে এবং জমি তৈরি করতে কমপক্ষে ১৫-২০ দিন সময় লাগায় জমির মালিকরা গরুর হাল বাদ দিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করে। এজন্য এখন গরুর হাল খুব কম চোখে পড়ে।

রনচন্ডী ইউনিয়নের ধাইজান পাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলী তাজু বলেন, আমার এখনো গরুর হাল আছে। তবে জমি তৈরির ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগে। এজন্য গরুর হাল দিয়ে জমি চাষ করা বাদ দিয়েছি।

উপজেলা কৃষিবিদ লোকমান আলম বলেন, কৃষক এখন যান্ত্রিক চাষাবাদের দিকে আগ্রহী হচ্ছে। গরু দিয়ে চাষ করতে গেলে সময় ও অর্থ দুটোই বেশি পড়ে। ফলে গরু দিয়ে চাষবাদ দিন দিন কমে যাচ্ছে। যান্ত্রিক চাষাবাদের দিকে ঝুঁকছে তারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ৭ম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

কানাডার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কেটরিন কনলির ভূমিধস জয়

সাফ অ্যাথলেটিক্সে বাংলাদেশের ব্রোঞ্জ পদক জয়

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাসপোর্ট ফি কমাতে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার

বিসিবির কাছে বিচার চেয়ে সোহাগ গাজীর চিঠি

এগিয়ে গিয়েও ব্যর্থতার হতাশায় পুড়ল বসুন্ধরা কিংস

বিচ্ছেদ গুঞ্জনে যা বললেন পূর্ণিমা

এমবেউমোর জোড়া গোলে ম্যানইউর টানা তৃতীয় জয়

পুরান ঢাকায় বাসার সিঁড়িতে আবারও এক শিক্ষার্থীর লাশ!

১০

জেন-জির বিক্ষোভে দেশ ছেড়ে পালানো প্রেসিডেন্টের নাগরিকত্ব বাতিল

১১

নতুন সরকার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আমন্ত্রণ জানালে থাকবেন কি না, জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা

১২

ভুটান সরকারের ‘পাখিবাড়ি’

১৩

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে না দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ

১৪

আ.লীগ নেতার কবর জিয়ারত করলেন জামায়াতের এমপি প্রার্থী

১৫

দুর্ঘটনার কয়েক মাস আগে থেকেই ‘শাহাদাতের’দোয়া পড়ছিলেন জুনায়েদ জামশেদ

১৬

বিএনপি নেতাকে দেওয়া মালায় ১০ লাখ টাকার চেক

১৭

নতুন ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্কবার্তা জারি, আঘাত হানতে পারে যেসব স্থানে

১৮

সিএনজি চালকদের জরুরি নির্দেশনা দিলেন এসএমপি কমিশনার

১৯

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে চট্টগ্রামে ভিড়ল জাহাজ

২০
X