পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পেঁয়াজের ঝাঁঝ আর মরিচের ঝালে দিশাহারা মানুষ

পাইকারি বাজারে বিক্রির জন্য স্তূপ করে রাখা কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজ। ছবি : কালবেলা
পাইকারি বাজারে বিক্রির জন্য স্তূপ করে রাখা কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজ। ছবি : কালবেলা

রংপুরের পীরগাছায় কাঁচামরিচের কেজি পাইকারি বাজারে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা করে। দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে কেজি ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারিতে ৯২ টাকা কেজি হলেও, খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে পীরগাছা সদরের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এ সময় ক্রেতাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এ দুটি পণ্যের অত্যধিক দামে তারা যেন দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।

পশ্চিমদেবু গ্রামের ক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, বাজারে কাঁচামরিচের দাম অত্যন্ত বেশি, পেঁয়াজের দামও ১০০ টাকার উপরে। দুটি পণ্যই রান্নার জন্য অপরিহার্য। বাজারে সব কিছুরই দাম বেশি। এত দাম হলে আমাদের মতো গরিব মধ্যবিত্তরা কীভাবে কিনে খাবে।

অনন্তরাম গ্রামের গৃহিণী মিনা বেগম বলেন, সাধারণত পেঁয়াজ-মরিচের ঝাঁঝ ও ঝালে চোখে পানি এলেও এখন এ দুটি জিনিস বাজারে কিনতে গিয়ে দাম শুনে চোখে পানি চলে আসে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আমরা গরিবরা আজ দিশাহারা।

খুচরা বিক্রেতা বকুল মিয়া জানান, পাইকারিতে কেনা বেশি পড়ছে তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। অনেক দিন ধরেই দাম বেশি। তবে কী কারণে দাম বেড়েছে তা তিনি বলতে পারেননি। সবকিছুর দাম বেশি হওয়ায় বেচা-বিক্রিও কম বলে তিনি জানান।

পাইকারি বিক্রেতা জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, বৃষ্টির কারণে মরিচের উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কম। এ জন্য দাম বেড়েছে। একদিন আগেও মরিচ ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আজ ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে হয়েছে।

পেঁয়াজের বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বেড়েছিল। গত এক সপ্তাহ ধরে ভারতীয় পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। শুরু থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে থাকলে পেঁয়াজের দাম এত বৃদ্ধি পেত না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, এ উপজেলায় ৭০ হেক্টর জমিতে এবার মরিচের আবাদ হয়েছে। প্রচণ্ড খরা, তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে মরিচের উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তাছাড়া বর্ষায় অতিবৃষ্টির কারণেও গাছের ফুল ঝরে যাচ্ছে। এজন্য বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। এ উপজেলায় পেঁয়াজ ২৩৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ টন। সেটা অর্জিত হয়েছে। আর দাম বৃদ্ধির বিষয়টি একটি জাতীয় ইস্যু। এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করার কিছু নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৫ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

৩৫ বছর পর আজ চাকসুর ভোট

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে বড় নিয়োগ

রাজস্থানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, বাসে আগুনে পুড়ে ২০ জনের মৃত্যু

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক স্টাফ কলেজ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

মার্কারের পরিবর্তে চক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে ডিবিএল সিরামিকস ‘টাইলচক’ 

বিশ্বে শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান কত?

হোয়াইটওয়াশ লজ্জায় বাংলাদেশ, একশও ছুঁতে পারলেন না মিরাজরা

হাটহাজারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

১০

জাল সনদে ১৮ বছর শিক্ষকতা, জেনেও ব্যবস্থা নেননি অধ্যক্ষ

১১

ইলিয়াস কাঞ্চনের অসুস্থতায় শাবনূরের আবেগঘন বার্তা

১২

যুদ্ধের উসকানি দিয়ে শান্তির প্রতীক হওয়া যায় না, ট্রাম্পকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৩

বাবার সঙ্গে আলোর শেষ কথা—আমরা আটকে গেছি

১৪

লাইভে এসে সংসদ ভেঙে দিলেন পালিয়ে যাওয়া মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

১৫

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড : দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের

১৬

ছাত্রশিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থীকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

১৭

মেসি নন, নতুনদের নিয়েই পুয়ের্তো রিকোর মুখোমুখি আর্জেন্টিনা

১৮

বিএনপি কোনো দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটায় না : কফিল উদ্দিন 

১৯

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান হাসপাতালে ভর্তি

২০
X