মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৩১ পিএম
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
হুমকির ‍মুখে জীববৈচিত্র্য

জাতীয় উদ্যানে কভারবিহীন বৈদ্যুতিক তার, বন্যপ্রাণীর মরণ ফাঁদ!

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও পার্শ্ববর্তী মৌলভীবাজার জেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে কভারবিহীন বৈদ্যুতিক তারে হুমকির মুখে বন্যপ্রাণী।

বনের বেশিরভাগ জায়গায় বৈদ্যুতিক তারে কভার লাগানো হয়নি। এ ছাড়া বনের ভেতর তারের কিছু অংশে প্লাস্টিক কভার লাগানো হলেও সেগুলোর বেশিরভাগের টেম্পার চলে গেছে। আর তাতে প্রতিনিয়ত বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য প্রাণী।

সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, কভারবিহীন বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎস্পর্শে প্রতিনিয়ত গেছো প্রাণী যেমন বানর, হনুমান, লজ্জাবতী বানরসহ অনেক প্রাণী আহত ও নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাণীগুলো প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎস্পর্শে আহত অথবা মারা যাচ্ছে। যেসব প্রাণী আহত হচ্ছে তারা বংশপরম্পরায় প্রজাতির মধ্যে ক্ষতি বয়ে বেড়াচ্ছে। এটি বন্যপ্রাণীর প্রজন্মকে নষ্ট ও ধ্বংস করার চক্রান্ত হতে পারে বলে অনুমান করছেন বন্যপ্রাণী স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের কয়েকজন সদস্য।

এ বিষয়টি নিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বন অধিদপ্তর আমাদের কাছে কোনো চাহিদা দেয়নি। আমাদের কাছে চিঠি প্রদান করলে অবশ্যই আমরা তা বাস্তবায়ন করব।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি আমার অফিসের একজনকে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দিতে বলেছি। কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা তা জেনে জানাব।

বন্যপ্রাণী স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন পাখিপ্রেমিক সোসাইটির যুগ্ম আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ পাল জানান, বিগত দুই বছর ধরে লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বৈদ্যুতিক তারে প্লাস্টিক কভার লাগানোর জন্য আন্দোলন করে এলেও এর কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। বন্যপ্রাণীর ওপর মানবকৃষ্ট নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কেশবপুরে চার নারী পেলেন ‘অদম্য নারী পুরস্কার’

সিলেটে ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ ১৪ প্রতিষ্ঠানকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা

শরীয়তপুরে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

মাছ ধরতে গিয়ে ভারতে আটক ৬ জেলে, ১৩ মাস পর হস্তান্তর

হাটহাজারীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় গণদোয়া

জনসভায় হামলা-ভাঙচুর গণতন্ত্রের ওপর গভীর হুমকি : জেএসডি

একাধিক চাকরি করলে শিক্ষকদের এমপিও বাতিল

সিলেটকে বাংলাদেশের ১ম দুর্নীতিমুক্ত জেলা ঘোষণার উদ্যোগ

সাবেক সেনা কর্মকর্তার কাছে তারেক রহমানের দুঃখ প্রকাশ

১০

বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ : টুকু

১১

ঢাকায় নেত্রকোনা মুক্ত দিবস উদযাপন

১২

এনসিপির প্রথম ধাপের মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা কাল

১৩

যুদ্ধবিমান ইউরোফাইটার টাইফুনের অনন্য যেসব শক্তিমত্তা

১৪

যাত্রীদের সুসংবাদ দিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ

১৫

ব্যাংক কর্মীদের উৎসাহ বোনাস নিয়ে নতুন নির্দেশনা

১৬

গুলিবিদ্ধ বিএনপি নেতার খোঁজ নিলেন জামায়াত নেতারা

১৭

শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

১৮

চিকিৎসাধীন অবস্থায় চবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

১৯

‘বিএনপির নামে কেউ চাঁদাবাজি করলে টাকা ফেরত দিতেই হবে’

২০
X