কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৫, ১০:১৪ পিএম
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৫, ০১:০৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাকায় গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, মামলা না নেওয়ার অভিযোগ

অভিযুক্ত সাগর কাজী। ছবি : ফেসবুক থেকে নেওয়া
অভিযুক্ত সাগর কাজী। ছবি : ফেসবুক থেকে নেওয়া

রাজধানীর আজিমপুরের একটি বাসা থেকে তাহিয়া তাসামিম (১৯) নামে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে লালবাগের বিসি দাস স্ট্রিটের একটি ভবনের নবম তলায় এ ঘটনা ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার সোয়া ১২টার দিকে ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের পরিবারের দাবি, ওই গৃহবধূর স্বামী তাকে হত্যা করেছে। এই ঘটনার পর থেকে স্বামী সাগর কাজী পলাতক রয়েছেন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলা নেয়নি পুলিশ।

নিহতের বাবা মো. তাজুল ইসলাম জানান, এক বছর আগে তাহিয়া ও সাগরের বিয়ে হয়। পরে তাহিয়া জানতে পারেন, তার স্বামী আগেও বিয়ে করেছিলেন এবং পরবর্তীতে ওই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তাহিয়াকে বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ হলে একপর্যায়ে তাহিয়া শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন।

নিহতের বাবা অভিযোগ করে বলেন, গত মঙ্গলবার আমার মেয়ের স্বামীর পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। যদি সমাধান না হয়, তাহলে যেন ডিভোর্স দিয়ে দেয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। আমার মেয়েকে হত্যা করা হলো। ঘটনার দিন তাহিরা বাসায় একা ছিল, তার মা কর্মস্থলে ছিল। আমি নামাজে যাওয়ার আগে মেয়েকে বলে গিয়েছিলাম, কেউ আসলে দরজা যেন না খোলে। কিন্তু তার স্বামী দারোয়ানকে ডেকে দরজা খুলে ভেতরে ঢোকে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসায় ফিরে দেখি, খাটের পাশে মেয়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। মুখে ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমি বুঝতে পারি, সাগর তাকে মেরে পালিয়েছে। পরে রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, আমার মেয়ে আর বেঁচে নেই।

নিহত তাহিয়ার পরিবারের অপর এক সদস্য অভিযোগ করে জানান, এ ঘটনায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা না নিয়ে আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে হত্যাকারীদের পক্ষ থেকে আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালবাগ থানার ওসি ক্যশৈনু বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নিহতের স্বামী বাসায় আসেন। ভেতর থেকে দরজা না খুললে, তিনি দারোয়ানকে নিয়ে দরজার সামনে যান। পরে নিহত মেয়েটি দরজা খুললে দারোয়ান স্বাভাবিকভাবে নিচে চলে যায়। প্রায় ১৫ মিনিট পর তার স্বামী বাসা থেকে বেরিয়ে যান। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহতের বাবা বাসায় এসে দেখেন, রুমের দরজা ভেতর থেকে আটকানো। দরজা খুলে তিনি দেখেন, মেয়েটি মেঝেতে পড়ে আছে, আর ফ্যানের সঙ্গে একটি ছেঁড়া ওড়না ঝুলছে।

ওসি আরও জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য ওই নারীর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এজলাসে বিচারককে যা বললেন আনিস আলমগীর

আ.লীগ নেতা জেলে, ঝুলে আছে ১২৩ কোটি টাকার সেতু নির্মাণ

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি / ভর্তি মেলায় থাকছে শতভাগ পর্যন্ত মেধাভিত্তিক স্কলারশিপ ও বিশেষ ছাড়

নরসিংদীতে তোপের মুখে পরী মণি

রাজনীতিক ও এমপি প্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের নীতিমালা প্রকাশ

চবিতে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও স্লোগান

সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলো হাদিকে

গোয়ালঘরে কৃষকের গরু জবাই করে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা

নতুন গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধন করল ওয়াটারএইড বাংলাদেশ

নার্ভাস ছিলাম, এখন এক্সাইটেড : সাবিলা নূর

১০

চরের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে ২০ লাখ টাকার সেতু, নেই সংযোগ সড়কও

১১

শীতে ফেসপ্যাক ব্যবহারের সঠিক সময় কোনটা? জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

১২

ডিসেম্বরের ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭১ কোটি ডলার

১৩

সুদানে বাংলাদেশি ৬ শান্তিরক্ষী নিহত / ‘এখন সে চলে গেছে আমিও তো শেষ হয়ে গেছি’

১৪

পিএসএলের ধাক্কায় অনিশ্চয়তায় পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফর

১৫

‘ওয়ানপ্লাস’ কারখানায় অভিযান, জরিমানা ১২ লাখ

১৬

খুলনায় প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানার, বিলবোর্ডের ছড়াছড়ি

১৭

মনোনয়ন ফরম কিনে ফেরার পথে গ্রেপ্তার হলেন যুবলীগ নেতা

১৮

জনগণের কল্যাণই বিএনপির রাজনীতির মূল লক্ষ্য : হাবিব

১৯

সু চি হয়তো আর বেঁচে নেই : ছেলে কিম

২০
X