বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম বলেছেন, আমি থাকতে ক্যাম্পাসে পুলিশ আসতে দেব না, ক্যাম্পাসে পুলিশ আসলে পদত্যাগ করব। যে কোনো বিষয়ে আমরা কথা বলব, পুলিশ আসবে না।
বুধবার (১৭ জুলাই) আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে প্রক্টর এসব কথা বলেন।
এদিন বিকেল ৩টা থেকে বাধ্যতামূলক হল ত্যাগের নির্দেশনা প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ঘোষণার প্রতিবাদে এবং ওই নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন প্রায় পাঁচ শতাধিক আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে উপাচার্যের বাসভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। একপর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে দাবি আদায়ে উপাচার্যের বাসভবনে তালা দেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে প্রক্টর এসব কথা বলেন।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন উপাচার্যকে বিকেলে ৫টা পর্যন্ত আলটিমেটাম দেন আন্দোলনকারীরা। এর ভিত্তিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপাচার্য এবং শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন। সেখানে তোমরা হয়ত আশানুরূপ একটি সিদ্ধান্ত পাব। তখন হয়ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আর নাও থাকতে পারে। তোমাদের আমি শান্ত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।
উপাচার্যের এমন মন্তব্যে সন্তুষ্ট নন আন্দোলনকারীরা। দাবি আদায়ের জন্য উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তালা খোলা হবে না এসং বাসভবনের ভেতরের কাউকে বের হতে দিবেন না বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
এর আগে দুপুর আড়াইটায় নিহত আন্দোলনকারীদের স্মরণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাদের আত্মার মাগফিরাত করে দোয়া করেন আন্দোলনকারীরা।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী কোটা আন্দোলন নিয়ে চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় বুধবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবিতে) সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভার এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি বাধ্যতামূলক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন। এ ঘোষণা প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন আন্দোলনকারীরা।
মন্তব্য করুন