সাংবাদিকদের উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, তারপর ক্ষমা চেয়ে পোস্ট দিয়ে তা মুছে ফেলা, পরে ডিবি অফিসে গিয়ে নালিশ করা— এসব করে বিতর্কের তুঙ্গে রয়েছেন তানজিন তিশা। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে সমবেত হয়েছিলেন বিনোদন সাংবাদিকরা। সেই ধারাবাহিকতায় নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন শোবিজ তারকারা। সম্প্রতি এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস। এর আগে কথা বলেছিলেন ঢাকাই সিনেমার নায়ক জায়েদ খান।
বেসরকারি টিভির বিনোদন সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম তামিমের প্রশ্ন শুনে খেপে যান অভিনেত্রী তিশা। এ বিষয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘বিনোদন সাংবাদিক তামিমকে নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে, আমি যতদূর জানি তামিম একজন সুইট মানুষ। ভালো, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন সাংবাদিক তিনি। আমি জানি না দুজনের কথোপকথনে কোথায় গ্যাপ ছিল। তিশাও আমার পছন্দের একজন অভিনেত্রী।
ঢালিউড কুইন বলেন, এতদূর না গিয়ে, তানজিন তিশা যেহেতু একজন নারী, তাই নারীকে সব জায়গায় প্রমাণ তুলে ধরা ঠিক না। দুজনের মধ্যে বড় কোনো গ্যাপ থাকলে সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলা যেত। এটাকে সামনে গড়িয়ে নেওয়ায় সাংবাদিক ও আর্টিস্টদের মাঝে দূরত্ব বেড়ে গেছে।
তিশার উদ্দেশে অপু আরও বলেন, সাংবাদিকদের যথেষ্ট অধিকার আছে কোনো তথ্য বা বিষয় তাদের কাছে পৌঁছালে সেটার সত্যতা যাচাই করে প্রচার করা। এটা তাদের নৈতিক বিষয়। এটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়।
অপু ছাড়াও তিশার এমন ঘটনার বিষয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ বলেছেন, আমি মনে করি হয়তোবা বাচ্চা মেয়ে, ইমম্যাচিউরড। এদের কে বুদ্ধি দেয় জানি না। এরা আসলে বোকা, ইমম্যাচিউরড। আমি সবসময় বলি, যুগে যুগে নায়ক-নায়িকাদের পাশে ছিল এই বিনোদন সাংবাদিকরাই। আমার সঙ্গে অনেকের ঝামেলা হয়েছিল, কিন্তু আমি সেসব কখনো বড় ইস্যু করিনি। সিনিয়র সাংবাদিকরা ছিলেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে এটা সমাধান করা উচিত। বাহিনীর দ্বারস্থ হওয়া, পুলিশের কাছে যাওয়া- এসব আসলে ঠিক নয়। এতে শিল্পীদের ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যায়।
মন্তব্য করুন