কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১২:০৫ পিএম
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কলকাতায় রাজনৈতিক কার্যালয় খুলেছে আ.লীগ

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ছবি : সংগৃহীত
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ কলকাতার একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে রাজনৈতিক কার্যালয় খুলেছে। সেখানে দলের নেতাকর্মীরা নিয়মিত যাতায়াত করছেন। খবর বিবিসি বাংলার।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখানে যাতায়াতকারী অনেকেই এক বছর আগেও বাংলাদেশের অন্যতম ক্ষমতাধর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তারা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর শীর্ষ বা মধ্যম পর্যায়ের নেতা। যেই বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে তারা কয়েক মাস ধরে যাতায়াত করছেন, সেখানেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের ‘দলীয় দপ্তর’ খুলেছে।

এতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের এই পার্টি অফিসটি একেবারেই নতুন। এর আগে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর কয়েক মাস ধরে ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছোটখাটো বৈঠক বা দলীয় দপ্তরের কার্যক্রম নিজেদের বাসাবাড়িতেই পরিচালনা করতেন। বড় আকারের বৈঠকের জন্য অবশ্য ভাড়া নিতে হতো কোনো রেস্তোরাঁ বা ব্যাঙ্কোয়েট হল। তাই একটি স্থায়ী ‘পার্টি অফিস’-এর প্রয়োজনীয়তা ছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

বিবিসি বলছে, বাণিজ্যিক পরিসরটির পেছনের দিকের ভবনের অষ্টম তলায় লিফট দিয়ে উঠে বাঁ দিকে গেলেই সারিবদ্ধভাবে পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দপ্তর। করিডোরের দুপাশে হালকা বাদামি রঙের একের পর এক দরজা। সেখানেই একটি দরজার আড়ালে রয়েছে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস। প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ বর্গফুটের এই ঘরটিতে উঁকি দিলেও বোঝা যাবে না, এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক আছে। ঘরের বাইরে বা ভেতরে কোথাও নেই সাইনবোর্ড, শেখ হাসিনার ছবি বা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি।

বিবিসি বাংলাকে এক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, বঙ্গবন্ধু বা নেত্রীর কোনো ছবি কিংবা সাইনবোর্ড ইচ্ছাকৃতভাবেই রাখা হয়নি, যাতে ঘরটির পরিচয় প্রকাশ না পায়। এমনকি দলীয় দপ্তরের সাধারণ ফাইলপত্রও এখানে রাখা হয় না। মূলত নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ ও বৈঠকের জন্যই একটি জায়গার প্রয়োজন ছিল, আর সেটি এখানে পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, একে ‘পার্টি অফিস’ বলা হলেও আসলে এটি একটি বাণিজ্যিক অফিস। আগে যে সংস্থা এখানে কাজ করত, তাদের ফেলে যাওয়া চেয়ার-টেবিলসহ সব আসবাবই এখন ব্যবহার করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ৩০-৩৫ জনের বৈঠক এই দপ্তরেই করা যায়, যদিও একটু ঘেঁষাঘেঁষি করে বসতে হয়। ছোটখাটো বৈঠক বিভিন্ন নেতার বাসায় এখনো হয়। তবে বড় ধরনের বৈঠকের জন্য, যেখানে দুই শতাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতি প্রয়োজন হয়, সাধারণত কোনো ব্যাঙ্কয়েট হল বা রেস্তোরাঁর একটি অংশ ভাড়া করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মোটরসাইকেলে এসে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপে আগুন

রচনার বিদায়, এবার দিদিদের সামলাবেন মীর

পদ ফিরে পেলেন বিএনপি-যুবদলের ৩ নেতা

কালবেলার হাতে কলরেকর্ড, সেই খণ্ডিত মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে এলো নতুন তথ্য 

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / ডাস্টার দিয়ে ছাত্রীর মাথা ফাটানো সেই প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত 

ফেসবুক মনিটাইজেশন হারানো এড়ানোর সহজ কিছু টিপস

১০৩ রানে পিছিয়ে আয়ারল্যান্ড, বাংলাদেশের দরকার ৩ উইকেট

দিল্লি সফরে যাচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় বাড়াল এনসিপি

পিপলস চয়েসে শীর্ষে মিথিলা

১০

বিশ্বকাপের টিকিট পেতে যে সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে পর্তুগাল

১১

চা বিক্রির সময় ছাত্রলীগ নেতা ইমরান গ্রেপ্তার

১২

৩ দেশের ৪ সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

১৩

নগদে প্লে প্রোটেক্ট সতর্কবার্তা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই

১৪

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ, দেখবেন যেভাবে

১৫

‘রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত হলো’

১৬

চাঁদপুর-২ আসনের জন্য এনসিপির মনোনয়ন কিনলেন মিরাজ

১৭

পায়ে যেসব লক্ষণে বুঝবেন আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

১৮

মরিচ গাছ চুরি নিয়ে সংঘর্ষে কৃষক নিহত

১৯

পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার নিয়ে সতর্কতা গুগলের

২০
X