কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিপদে এরদোয়ান, বার্তা পাঠাল ইরান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। ছবি : সংগৃহীত
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। ছবি : সংগৃহীত

সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত বাশার আল আসাদ সরকারকে কৌশলে হটিয়ে দিয়েছে তুরস্ক। কিন্তু সেই তুরস্কের ঘরেই এখন লেগেছে বিক্ষোভের আগুন। বিরোধীরা একজোট হয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের পেছনে পড়েছে। ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই ফুঁসে উঠেছে তুরস্কের জনগণ। রাস্তায় নেমে তারা এরদোয়ান বিরোধী বিক্ষোভ করছে।

বিরোধ সত্ত্বেও তুরস্কে এমন বিক্ষোভ দেখে চুপ থাকতে পারেনি ইরান।তুরস্কের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন তার ইরানি সমকক্ষ আব্বাস আরাকচি। এ সময় ইমামোগলুকে গ্রেপ্তার ও এর ধারাবাহিকতায় যা ঘটছে, সেটিকে তুরস্কের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বর্ণনা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

উত্তাল এই সমুদ্র তুরস্ক একাই পাড়ি দিতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন আরাকচি। উভয় কূটনীতিক তুরস্কের বিক্ষোভের বাইরে গাজা, লেবানন ও সিরিয়া ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। তাদের ফোনালাপে ইয়েমেনে মার্কিন আগ্রাসনের বিষয়টিও উঠে আসে। এই অঞ্চলে শান্তি বাড়াতে সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে জোরারোপ করেন ফিদান ও আরাকচি।

আঞ্চলিক রাজনীতিতে তুরস্ক ও ইরানের মধ্যে দূরত্ব অনেক। বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। বিশেষ করে গেল ডিসেম্বরে সিরিয়ায় ইরানকে রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে তুরস্ক। আঙ্কারার উসকানি পেয়েই আসাদ সরকারের পতন ঘটায় বিদ্রোহীরা। তাতে এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছে আমেরিকা। পরম মিত্র ইসরায়েলের পথের কাঁটা যেমন সরেছে। তেমনি ইরানকেও নিষ্ক্রিয় করা গেছে।

দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে লেবাননের যোদ্ধাদের কাছে অস্ত্র ও অর্থ পাঠাতে সিরিয়াকে ব্যবহার করে আসছে ইরান। লেবাননে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নেতৃত্বের কোমর ভেঙে দিলেও তাদের জন্য ইরানি মদদ কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছিল না। ঠিক তখন অনেকটা ঝড়ের গতিতে দামেস্ক দখল নেয় সিরিয়ার বিদ্রোহীরা। রাশিয়া ও ইরানের সামরিক উপস্থিতি থাকলেও তারা মোটেও পাত্তা পায়নি।

সিরিয়ায় ক্ষমতার পট-পরিবর্তনে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। এতে করে ইসরায়েল যেমন তারা সীমানা বাড়িয়েছে। পাশাপাশি সিরিয়া থেকে ইসরায়েলে হামলাও বন্ধ হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রও বিনা রক্তপাতে কুর্দিশাসিত অঞ্চলে নিজের ঝাণ্ডা গাড়তে পেরেছে। আসাদ পরবর্তী সিরিয়ার সঙ্গে মার্কিন সখ্যতার প্রচেষ্টা এবং কুর্দিদের সঙ্গে দামেস্কের বিভিন্ন সমঝোতা সেই দিকেই ইঙ্গিত করে।

এখন তুরস্কে হঠাৎ করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় বেকায়দায় পড়েছেন এরদোয়ান। যুক্তরাষ্ট্রের এ নিয়ে সরাসরি আগ্রহ না থাকলেও মাথাব্যথা শুরু হয়ে গেছে ইউরোপের। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে চলা এই বিক্ষোভ থামবার কোনো লক্ষণ নেই। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনিতেই তুর্কিদের মধ্যে এরদোয়ান ও তার ক্ষমতাসীন দল একে পার্টির জনপ্রিয়তা কমেছে। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে বিরোধীরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাকিস্তানের হামলায় ২৩ আফগান তালেবান সেনা নিহত

সংসদ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট শুনানির জন্য কার্যতালিকায়

সান্তোসকে অবনমন থেকে বাঁচালেন নেইমার

খুলনার চিহ্নিত সন্ত্রাসী যশোরে গ্রেপ্তার

সেল্টার কাছে রিয়ালের বিব্রতকর হার

ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

নতুন থেরাপি নিয়ে আশা জাগাচ্ছে এইডস চিকিৎসা

বিচ্ছেদ গুঞ্জনে দিব্যা

বিষণ্নতা নাকি শুধুই ক্লান্তি

স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও লোহাগড়ায় নির্মিত হয়নি স্মৃতিস্তম্ভ

১০

ভোট দিতে প্রবাসী নিবন্ধন ২ লাখ ৪৯ হাজার

১১

অপহরণ মামলায় আসামি ৭ বছরের শিশু

১২

ট্রাইব্যুনালে হাসিনা আমলের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৭ জন

১৩

ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, ৬০০ ফুট খাদে গাড়ি পড়ে নিহত ৬

১৪

আমি একা থাকতে দারুণ উপভোগ করি: অক্ষয় খান্না

১৫

মারা গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়

১৬

প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়া ২ কর্মচারীকে শোকজ

১৭

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কাতর্কির কারণ জানালেন ময়মনসিংহের ডাক্তার

১৮

সংঘর্ষের পর কম্বোডিয়ায় বিমান হামলা চালাল থাইল্যান্ড

১৯

২ জেলায় নিয়োগ দিচ্ছে টিআইবি

২০
X