কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাশিয়া নিয়ে পশ্চিমাদের নীলনকশা ফাঁস করল হাঙ্গেরি

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান। ছবি : সংগৃহীত
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান। ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই পুতিনকে হারাতে নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে লড়াই করে যাচ্ছে জেলেনস্কি বাহিনী। আর এতে মদদ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোট ও ইউরোপীয় মার্কিন মিত্ররা। এর মধ্যেই পশ্চিমা এসব দেশের চাঞ্চল্যকর এক নীলনকশা ফাঁস করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে সদস্য হাঙ্গেরি।

হাঙ্গেরি জানায়, পুতিনকে পরাজিত করা নয় বরং আরও ভয়ংকর লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমারা।

রুশ সংবাদসংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার জাতীয় সম্পদের ওপর নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় মস্কোকে সামরিকভাবে পরাজিত করতে চায়। হাঙ্গেরির এক টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে চাঞ্চল্যকর এমন মন্তব্য করেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান। এর আগে ১৯৯০ সালেও তারা একই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি।

পুতিন মিত্র ওরবান জানান, পশ্চিমা যেসব নেতারা পুতিনের পরাজয় দেখতে চান তাদের উদ্দেশ্য খুবই পরিষ্কার। এটা শুধু অর্থের লোভ, যা তাদের প্রভাব ও ক্ষমতা অর্জন করতে সাহায্য করবে। পশ্চিমারা কেন ইউক্রেনে রাশিয়ার পরাজয় দেখতে চায় এমন প্রশ্নের জবাবে এ উত্তর দেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় ওরবান ১৯৯০ এর দশকের সময়কালের কথা স্মরণ করে জানান, ইউরোপিয়ানরা তখন রুশ সরকারের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে রাশিয়ার অর্থনীতিতে অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল। এমনকি তারা কোন প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়নি।

পুতিন মিত্র জানান, পশ্চিমারা তখন থেকেই রাশিয়াকে শোষণ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু রাশিয়ানরা অবশেষে সবকিছু নিজেদের হাতে নিয়েছিল এবং যেভাবে উপযুক্ত মনে করেছিল সেভাবে সবকিছু পরিবর্তন করেছে।

ওরবান দাবি করেন, পশ্চিমারা এখনও সেই সময়ের কথা ভেবে আবেগতাড়িত হয়ে উঠে এবং পুনরায় এমন একটি সুযোগের সন্ধান করছে। তারা মনে করছে ইউক্রেনে রাশিয়ার পরাজয় তাদের আবার সেই সুযোগের সামনে এনে দিবে।

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, এই যুদ্ধের সুযোগে পশ্চিমা অস্ত্র বিক্রেতা, ঋণদাতা ও শেয়ারবাজারের জুয়াড়িরা তাদের লাভের অংশ হাসিল করার চেষ্টা করছে।

এদিকে বিশ্লেষকরা মনে করছেন ন্যাটোর অস্ত্র দিয়ে রুশ ভূখণ্ডে হামলার সিদ্ধান্ত ইউক্রেন যুদ্ধের গতিধারাকে বদলে দিতে পারে।

মনে করা হচ্ছে, নতুন এই নীতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোর যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। রাশিয়া অবশ্যই এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে চাইবে। আর তা হলে যে কোনো ধরনের কোনো প্রতিশোধের ঘটনা ইউরাপে বড় পরিসরে যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ন্যাটো যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিমান হামলা কিংবা স্থলসেনা পাঠায় তাহলে পরিস্থিতি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হবে। আর এতে অনেক ন্যাটো সদস্যই একমত নয়। হতে পারে ইউক্রেনের মাটিতেই ন্যাটো তার ধ্বংস ডেকে আনবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইতিহাসে এই দিনে কী ঘটেছিল?

অস্ট্রেলিয়ায় উদ্ভাবিত বিশ্বের প্রথম টাইটানিয়াম হার্ট মানবদেহে প্রতিস্থাপন

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

শক্তিশালী পাসপোর্টে শীর্ষে সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশের অবস্থান কত?

২৭ জুলাই : নামাজের সময়সূচি

যে ভুলে মরতে পারে টবের গাছ

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদে ২৪ বছর ধরে চাকরি, অতঃপর..

ঝিনাইদহে ২৪ বছর ধরে ক্রিকেট ব্যাট বানাচ্ছেন ৩ ভাই

জামালপুরে ১০ মামলায় আসামি ২৩০৫, গ্রেপ্তার ৩২

আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড়

১০

যাত্রী পারাপার কমেছে আখাউড়া স্থলবন্দরে

১১

সিলেটে ৭ চোরাই সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭

১২

‘সাংবা‌দি‌কের ওপর হামলা নিঃস‌ন্দে‌হে ছাত্র‌দের কাজ নয়’

১৩

রাজশাহীতে সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার ১১৬৩

১৪

ছাত্রলীগের রাজনীতি ছাড়ার ঘটনা নিয়ে সারজিসের ফেসবুক স্ট্যাটাস

১৫

তিন সমন্বয়ককে আটকের কারণ জানালেন ডিবিপ্রধান

১৬

দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আল জাজিরাকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার

১৭

পাকিস্তানের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

১৮

ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীর ওপর হামলা-মারধর

১৯

নাসিক কাউন্সিলর ইসরাফিল প্রধান গ্রেপ্তার

২০
X