ইরানে হামলার আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছিল বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত ছিল ইসরায়েলের নিজস্ব, স্বাধীন পদক্ষেপ। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড্যানন বলেন, “এ বিষয়ে আমি কোনো ধরনের জল্পনা-কল্পনায় যেতে চাই না।”
ইরানে হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সাহায্য করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। তবে এ হামলার সিদ্ধান্ত ইসরায়েলেরই।
ইরানে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে কয়েক ডজন বিমান দিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। তারা এটিকে উচ্চমানের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি ‘সুনির্দিষ্ট এবং পূর্বপ্রস্তুতি সম্পন্ন সমন্বিত হামলা’ বলছে, যার লক্ষ্যবস্তু ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও বলেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের মিশন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত যতদিন প্রয়োজন এ অভিযান চলবে।
এদিকে হামলার পর তেহরানের প্রধান বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে। তবে ইসরায়েলি হামলার ফলে বিমানবন্দরটি সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
পারমাণবিক লক্ষ্যবস্তুর পাশাপাশি তেহরান এবং অন্যান্য শহরের আবাসিক এলাকায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। বিবিসি, আলজাজিরা, রয়টার্স ও ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
হামলায় ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।
ইরানের রাজধানীতে স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে আলজাজিরার সংবাদদাতারা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। দেশটির রাজধানীতে ছয় থেকে ৯টি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। কমপক্ষে দুটি বিস্ফোরণের ঘটেছে।
মন্তব্য করুন