কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১১ পিএম
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের টানেল ধ্বংসে ইসরায়েলের ভয়ংকর কৌশল!

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালানোর পর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নির্মূলে উঠেপড়ে লাগে তেল আবিব। দীর্ঘ দুই মাসের যুদ্ধেও গোষ্ঠীটিকে ধ্বংস করা যায়নি। এ জন্য দুটি কারণ দাঁড় করায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। প্রথমত, গাজাবাসীকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস, দ্বিতীয়টি গোষ্ঠীটির মাকড়সার মতো ছড়িয়ে থাকা টানেল বা সুড়ঙ্গগুলো। যেখান থেকে হামলা চালিয়ে আবারও নিরাপদে ফিরে যাচ্ছে তারা। এবার সেই টানেল ধ্বংসে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, হামাসের সুড়ঙ্গগুলো ধ্বংস করতে সীমান্তে বেশ বড় আকারের পাম্প জড়ো করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, আল-শাতি শরণার্থী শিবির থেকে মাইলখানেক দূরে অন্তত ৫টি পাম্প বসিয়েছে ইসরায়েল। এসব পাম্প ব্যবহার করে প্রতি ঘণ্টায় হাজারো ঘনমিটার পানি সরবরাহ করা সম্ভব। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পাম্প ব্যবহার করে সাগরের পানি টেনে এনে গাজায় সুড়ঙ্গগুলোয় ফেলা হবে। ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানায়, এ বিষয়ে জানতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে গেল মাসে এই পরিকল্পনার কথা যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কত দূর এগিয়েছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন মার্কিন কর্মকর্তরা। তারা জানিয়েছেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি তেল আবিব।

গাজা উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ রয়েছে। সেখানে পণ্য ও ব্যক্তির প্রবেশ কিংবা সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য ইসরায়েলের অনুমতি দরকার হয়। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় গোপনে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপায় এসব সুড়ঙ্গ। যদিও ইসরায়েল দাবি করে, হামাসের সশস্ত্র কর্মকাণ্ড পরিচালনার অন্যতম কেন্দ্র এই সুড়ঙ্গগুলো।

এদিকে, উত্তর গাজায় স্থল অভিযান শুরুর আগে সেখান থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। এর জেরে বাস্তুচ্যুত হন লাখ লাখ মানুষ। কিন্তু যুদ্ধবিরতির পর এবার দক্ষিণ গাজায়ও অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে তারা। এতে গোটা উপত্যকাজুড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, তেল আবিব যদি গোটা উপত্যকায়ই অভিযান চালায়, তাহলে ঘোষণা দিয়ে তাদের কেন দক্ষিণ গাজায় আনা হয়েছে? গেল ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর থেকে অব্যাহত হামলায় গাজায় প্রায় ১৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এখনো যমুনার সামনে অবস্থানে বিক্ষোভকারীরা

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে কোমলমতি শিশুরা

আগুনে ঘি ঢালা নয়, শান্তি চাই : এরদোয়ান

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

আরব সাগরে ভারতের অভিযান, টার্গেটে পাকিস্তান

০৯ মে : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

০৯ মে : আজকের নামাজের সময়সূচি

অবশেষে গ্রেপ্তার সাবেক মেয়র আইভী

১৭ দিন পর রাজশাহী পলিটেকনিকে খুলল তালা

শেখ হাসিনার পক্ষে শিক্ষার্থীদের স্লোগান, প্রধান শিক্ষককে শোকজ

১০

স্বাস্থ্য পরামর্শ / মায়ের গর্ভেই থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্ণয় পদ্ধতি

১১

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

১২

মরদেহ দাফনের পাঁচদিন পর বাবা জানলেন সন্তান জীবিত

১৩

দেশজুড়ে ভারতের ২৪টি বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

১৪

সাবেক মেয়র আইভীকে আটকের খবরে বাড়ি ঘেরাও

১৫

পাকিস্তানের মিসাইল বৃষ্টি, অন্ধকার ভারত

১৬

ভারতের প্রত্যাঘাত ছিল অ-উত্তেজক ও সুনির্দিষ্ট : বিক্রম মিশ্রি

১৭

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান

১৮

দৌলতপুরে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ পরিবারের দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা বকুল

১৯

সরকারি বাঙলা কলেজে দ্বিতীয় আন্তঃবিভাগ বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত

২০
X