কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৪, ০৮:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজায় খোঁজ মিলছে না ২১ হাজার শিশুর: সেভ দ্য চিলড্রেন

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

গাজা থেকে অন্তত ২১ হাজার শিশু নিখোঁজ হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক অধিকার সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক হামলা শুরুর পর থেকে এসব শিশু নিখোঁজ হয়েছে। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

এই প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়েছে—নিখোঁজদের মধ্যে কয়েক হাজার শিশু ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে, অনেকেই গণকবরগুলোতে সমাহিত হয়েছে, কেই ইসরায়েলি সেনাদের দ্বারা আটক হয়েছে কিংবা সংঘাতের বিশৃঙ্খলায় হারিয়ে গেছে।

নিহত, নিখোঁজ ও ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের প্রকৃত সংখ্যা সম্পর্কে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, গাজার বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের বিষয়টি প্রায় অসম্ভব। তবে অন্তত ১৭ হাজার শিশু সঙ্গীবিহীন বা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর আনুমানিক ৪ হাজার শিশু ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে নিখোঁজ রয়েছে, গণকবরগুলোতেও অজানা সংখ্যকের ঠাঁই হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় ১৪ হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি অসংখ্য শিশু মারাত্মক অপুষ্টিরও শিকার হয়েছে। এসব শিশুর শরীরে কান্নার শক্তিটুকুও আর অবশিষ্ট নেই।

গাজার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অক্টোবরের পর থেকে ধারাবাহিক হামলার কবলে পড়ে গাজায় ৩৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কয়েক হাজার শিশুও রয়েছে। একটি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরায়েলে প্রবেশ করে ৩৩ জন শিশুসহ সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করলে এই পরিস্থিতির সূচনা হয়।

সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে গাজার বাইরে ফিলিস্তিনি আরেক ভূখণ্ড পশ্চিমতীর থেকেও গত ৯ জুন পর্যন্ত প্রায় আড়াইশ শিশু নিখোঁজ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে গাজার নিখোঁজ শিশুদের নিয়ে স্বাধীন তদন্ত ও দায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন সেভ দ্য চিলড্রেনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক জেরেমি স্টোনার। তিনি বলেন, পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জনের হদিস নিয়ে অনিশ্চয়তায় জর্জরিত। কোনো অভিভাবক তাদের সন্তানের মৃতদেহ খুঁজে বের করার জন্য ধ্বংসস্তূপ বা গণকবর খুঁড়তে পারছে না। যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো শিশুই একা, অরক্ষিত থাকা উচিত নয়। কোনো শিশুকে আটক করা বা জিম্মি করাও উচিত নয়।

শিশু অধিকার সংস্থা ‘ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল প্যালেস্টাইন’-এর সাধারণ পরিচালক খালেদ কুজমার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, গাজায় যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা অতীতে আর কখনোই দেখা যায়নি। এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও এমনটি হয়নি। তিনি বলেন, এটি শিশুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার সবচেয়ে বড় মূল্য দিয়েছে শিশুরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আইভীর ৫ মামলার গ্রেপ্তার শুনানি পেছাল

খালেদা জিয়ার নামে স্কুল-বৃদ্ধাশ্রম বানাতে জমি দিলেন বিএনপি নেতা

ভুলবশত ১ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, তাৎক্ষণিক বিএনপির বিজ্ঞপ্তি

যে আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

যত ধরনের সংস্কার সবই বিএনপির ৩১ দফায় আছে : ডা. জাহিদ

সিলেটে তাইজুলের নতুন ইতিহাস

ঢাবির ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

রাজধানীতে আ.লীগের ২ সদস্য আটক

প্রধান উপদেষ্টা দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন : সামান্তা শারমিন

তোমাদের আপা আর আসবে না, আ.লীগকে লায়ন ফারুক

১০

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে ২১৮ পদে বড় নিয়োগ, আবেদন যেভাবে

১১

মোদির মায়ের চরিত্রে রাভিনা ট্যান্ডন

১২

লকডাউনের নামে আ.লীগ মানুষ পুড়িয়ে মারছে : রিজভী

১৩

করোনায় অতিরিক্ত মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায়, বরখাস্ত ইমামকে বহালের নির্দেশ

১৪

উদ্বোধনের পর ধসে পড়ল সেতু

১৫

ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী

১৬

পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের লজ্জার হার

১৭

জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ

১৮

বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু জ্ঞানশ্রী মহাথেরের মহাপ্রয়াণ

১৯

শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে : মাদ্রাসার ডিজি

২০
X