অবশেষে ভারত ছেড়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে টানা ৪৮ ঘণ্টা আটকা পড়ার পর মঙ্গলবার ভারত ছেড়েছেন তিনি। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, রোববার বিকেলে জি-২০ সম্মেলন থেকে ফেরার সময়ে তার বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়া। ফলে তাকে হোটেলে ফিরতে হয়। এরপর টানা ৪৮ ঘণ্টা হোটেলে আটকা পড়েন তিনি। মঙ্গলবার তার বিমানের ত্রুটি সারিয়ে নেয় বিমানবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল। এরপর নিজ দেশের উদ্দেশে রওনা দেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
ত্রুটির সময়ে ট্রুডোর অফিসের বরাতে বলা হয়, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য স্পেয়ার পার্টস নিয়ে কানাডা থেকে একটি ব্যাক আপ বিমান ভারতে যাচ্ছে। এটি দিয়ে ত্রুটি সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে ব্যাকআপ বিমানেই দেশে ফিরতে পারেন ট্রুডো।
অভিযোগ রয়েছে, ট্রুডোর এবারের ভারত সফর মোটেই ভালো যায়নি। বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এতক্ষণ আটকা থাকলেও ভারতের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত করা হয়নি। এর আগে কানাডায় ভারতবিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় নিজেদের দৃঢ় উদ্বেগের কথাও জানিয়ে দেয় ভারত সরকার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার ভারত সরকারের সঙ্গে ট্রুডোর কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিক সম্পৃক্ততার বিষয়ে কানাডার পক্ষ থেকে তারা কোনো অনুরোধ পাননি। বিমানবন্দরে ট্রুডোকে স্বাগত জানানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীয় প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্র শেখরের কার্যালয়ও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া স্থানীয় হাইকমিশন থেকে যে যোগাযোগ করা হয়েছে, এরও কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস সচিব মোহাম্মদ হুসেন বলেন, প্রতিনিধিদলকে দেশে নিয়ে যেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন কানাডিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ তারা দিল্লি ছাড়তে পারেন।
এর আগে ট্রুডোকে দেশে নিয়ে যেতে আরেকটি ব্যাকআপ বিমান কানাডা থেকে রওনা হয়েছিল। বিমানটির গতকাল সোমবার রাত ১১টা নাগাদ দিল্লি এসে পৌঁছানোর কথা ছিল।
এক বিবৃতিতে ট্রুডোর কার্যালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর এ বিমানটির দেখাশোনা করে কানাডার বিমানবাহিনী। বিমানের যান্ত্রিক গোলোযোগ রাতারাতি মেরামত সম্ভব নয়। বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিনিধিদলকে দিল্লিতেই অবস্থান করতে হবে।
তবে ট্রুডোর বিমানে আসলে কী গোলোযোগ হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। এ নিয়ে নিজ দেশেও বিতর্কের মুখে পড়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন