কোনাবাড়ী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৫, ০২:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গণপরিবহনে তৃতীয় লিঙ্গের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ যাত্রীরা

বাসের যাত্রীদের থেকে টাকা তুলছেন তৃতীয় লিঙ্গের দুই ব্যক্তি। ছবি : কালবেলা
বাসের যাত্রীদের থেকে টাকা তুলছেন তৃতীয় লিঙ্গের দুই ব্যক্তি। ছবি : কালবেলা

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী এলাকার বিভিন্ন স্থানে চলন্ত বাসে প্রতিনিয়তই চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। তৃতীয় লিঙ্গের কতিপয় ব্যক্তি প্রকাশ্যে বাসে উঠে যাত্রীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করছেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে যাত্রীদের হেনস্তা, অশালীন ভাষা প্রয়োগ এবং শারীরিকভাবে বিব্রত করার মতো আচরণের শিকার হতে হচ্ছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ মহাসড়কে চলাচলকারী বাসগুলোতে ওঠে চক্রের সদস্যরা। তারা নানা অজুহাতে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে। কেউ টাকা দিতে না চাইলে শুরু হয় চিৎকার-চেঁচামেচি, গালাগালি এমনকি যাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার মতো লজ্জাজনক কাজও। যাত্রীরা সম্মানের ভয়ে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে থাকেন।

শুধু বাসের যাত্রীরাই নয়, চালক ও হেলপাররাও আতঙ্কে থাকেন এ চাঁদাবাজদের ভয়ে। দিনের পর দিন চলতে থাকা পরিস্থিতিতে যাত্রীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গন্তব্যে পৌঁছানোর পথে প্রতিদিন এমন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে শত শত সাধারণ মানুষকে। যাত্রীদের দাবি, এই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

তৃতীয় লিঙ্গের এক সদস্য কালবেলাকে বলেন, আমরা কালু নামের এক সর্দারের অধীনে এসব কাজ করছি। তার নির্দেশেই বাসে উঠে চাঁদা আদায় করি আমরা। এটাই আমাদের পেশা।

বাসচালক শামীম হোসেন বলেন, আমরা হেলপারসহ অনেক সময় প্রতিবাদ করার চেষ্টা করি; কিন্তু তখন তারা দল বেঁধে চড়াও হয়। হুমকি দেয় আমাদের গায়ে হাত তুলবে, গাড়ির ক্ষতি করবে। আমরা আর প্রতিবাদ করতে সাহস পাই না।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (ক্রাইম) মো. রবিউল হাসান কালবেলাকে বলেন, কারোরই চাঁদাবাজি করার অধিকার নেই। এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। আপনারা যেহেতু বলছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘ঋণে জর্জরিত মানুষটির চল্লিশা যারা খেলেন, খাবার কীভাবে তাদের পেটে নামল!’

এবার দেশের বাজারে আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম

পৃথক ফৌজদারি ও পারিবারিক আদালত প্রতিষ্ঠা করল সরকার

আলোচনার মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সম্ভব : গণতন্ত্র মঞ্চ

শুরুতে ঝড়, শেষে ম্লান বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলে সরকারি চাল উদ্ধার

১৭ বিয়ে করা সেই বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে : জুলাই মঞ্চ

এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ালে কত টাকার ক্ষতির মুখে পড়বে পাকিস্তান?

সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে আগুন, ৮ শ্রমিক দগ্ধ

১০

এলডিসি থেকে উত্তরণে দেশের বাণিজ্য সুবিধা সংকুচিত হতে পারে : তারেক রহমান

১১

যুবদল নেতা হত্যাচেষ্টায় মামলা নিচ্ছে না পুলিশ

১২

যেসব কারণে হঠাৎ জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির দূরত্ব

১৩

হোয়াটসঅ্যাপে ঘুষের প্রস্তাব, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বরখাস্ত

১৪

মুসলিম দেশগুলোর যৌথবাহিনী গঠনের ইঙ্গিত, থাকবে পাকিস্তানও

১৫

আইওসিই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করল বাংলাদেশি দল

১৬

‎ডিভোর্সের পরও জোর করে রাতযাপন, অতঃপর...

১৭

চলতি মাসেই সূর্যগ্রহণ, বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে কি?

১৮

এশিয়া কাপে থাকা না থাকা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি পাকিস্তান

১৯

গাজা শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে মানুষ

২০
X