তথ্য সংগ্রহে গিয়ে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানায় গালাগাল ও আটকের হুমকির শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক। আলদাদপুরে হামলার আগে কিশোরগঞ্জের বাংলাবাজারে মানববন্ধন ঘিরে পুলিশের প্রস্তুতি কেমন ছিল— এমন প্রশ্ন করায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল ইসলাম প্রথম আলো ও কালবেলার দুই প্রতিবেদককে অকথ্য ভাষায় গালি দেন এবং উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের তাদের আটক করতে বলেন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ওসির অপসারণ ও বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন-আরপিইউজে, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব, নীলফামারী সাংবাদিক ইউনিয়ন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, রংপুর অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।
সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, একজন সাংবাদিকের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ শুধু পেশাগত মর্যাদাকেই অপমান করে না, এটি মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর সরাসরি আঘাত। প্রশাসনের দায়িত্ব হচ্ছে সহযোগিতা করা, হুমকি দেওয়া নয়। আমরা অবিলম্বে অভিযুক্ত ওসির প্রত্যাহার এবং নিরপেক্ষ বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি। অবিলম্বে অভিযুক্ত ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সাংবাদিক সমাজ আন্দোলনের নামে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
এ ছাড়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, আইনজীবী, সম্পাদক, রাজনৈতিক দলের নেতারা ও পেশাজীবীরা ঘটনাটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা এটিকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন-আরপিইউজের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক বলেন, ওসি আশরাফুল ইসলামের আচরণ ও বক্তব্যে স্পষ্ট হয় যে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিতর্কিত করতে এবং আলদাদপুরের ঘটনাটিকে ভিন্নভাবে জিইয়ে রাখার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পরিকল্পিত অংশ হিসেবে তিনিই এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
তিনি আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওসি আশরাফুল ইসলামের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ও বিভাগীয় ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সাংবাদিকদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন