হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে প্রদীপ সরকার (৩৫) নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে তিন মাসের কারাদণ্ড ও নগদ এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শফিকুল ইসলাম এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত প্রদীপ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর ইউনিয়নের নোয়াবাদ গ্রামের প্রফুল্ল সরকারের ছেলে। তিনি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অভিনব কায়দায় সাধারণ রোগীদের ডিজিটাল মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা দেওয়ার নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন।
অভিযানে ১টি ওজন মাপার মেশিন, ল্যাপটপ, আর এম এনালাইজার মেশিন, প্রায় এক কার্টন ওষুধ, ইনজেকশন সিরিঞ্জ ১ বক্স ও একটি পেনড্রাইভ জব্দ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রদীপ সরকার পৌর সদরের শনির আখড়ার এলাকার দুলু সরকারের বাসায় থেকে একটি বডি এনালাইজার মেশিন দিয়ে হাতের ছাপ নিয়ে রোগ নির্ণয় করতেন। পরে রোগীদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা আছে বলে তাদের বিভিন্ন ভিটামিন ওস্টেরয়েড ইনজেকশন এবং ইউনানির নামে শরীরের জন্য ক্ষতিক্ষারক বিভিন্ন জাতের বেনামি ওষুধ দেওয়া হতো।
দুপুরে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের বিষয়টি সন্দেহ হলে তাকে আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। সেখানেই তার প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে।
বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শফিকুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক প্রেকটিশনার অর্ডিন্যান্স আইন ১৯৮৩ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হয়। অভিযানের সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. অভিজিৎ পাল উপস্থিত ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে আজমিরীগঞ্জ থানার এএসআই রাজেদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে।
মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন