কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পানি থেকে যেভাবে বেরিয়ে আসে লবণ

কক্সবাজারে লবণ চাষে ব্যস্ত চাষি। ছবি : কালবেলা
কক্সবাজারে লবণ চাষে ব্যস্ত চাষি। ছবি : কালবেলা

লবণ নিত্যদিনের খাদ্য তালিকার অন্যতম উপাদান। খাবারের বাইরেও ড্রাইং, কাপড় তৈরি, চামড়াশিল্পে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু কীভাবে হয় লবণ চাষ, তা কী সবাই জানেন? এবার চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সেই তথ্য।

নদীর লবণাক্ত পানি দিয়েই উৎপাদিত হয় লবণ। সমতল ভূমিকে চারপাশে মাটির ছোট বাঁধ দিয়ে তাতে ছোট প্লট আকৃতির জায়গা বানানো হয়। এরপর সেগুলো রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে কালো পলিথিন বিছিয়ে দেওয়া হয়। নদী থেকে ইঞ্জিনচালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে লোনা পানি এনে ছোট ছোট ওই প্লট ভর্তি করা হয়।

এভাবে পানি সংগ্রহ করার পর ৪ থেকে ৫ দিন রোদে রাখা হয়। সূর্যের কড়া তাপে পানি বাষ্পীভূত হয়ে উড়ে যায়। আর লবণ পড়ে থাকে পলিথিনের ওপর। লবণের সাদা দানা একটু ঝরঝরে হলেই রিফাইনারি মেশিনের মাধ্যমে এটি রিফাইন করে বস্তাভর্তি করা হয়। প্রতি বস্তায় ৮০ কেজি করে লবণ থাকে। যা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে।

কক্সবাজারের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে থেকে বড় বড় নামিদামি কোম্পানি প্রাথমিকভাবে রিফাইন করা লবণ নিয়ে নিজেদের মেশিনে আরও ঝরঝরে করে। এরপর তারা নিজেদের নামে মোড়কজাত করে বাজারজাত করে।

সমাধারণত লবণ চাষের ভরা মৌসুম ফাল্গুন-চৈত্র মাস এবং তা মূলত আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল। একটু ঝড় বৃষ্টি হলেই এর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। শীতের কুয়াশাও লবণের জন্য ক্ষতিকর। তাই এ ব্যবসা খুবই ঝঁকিপূর্ণ’।

চলতি মৌসুমে কক্সবাজারে জেলার টেকনাফ, কক্সবাজার সদর, পেকুয়া, মহেশখালী, ঈদগাঁও, চকরিয়া, কুতুবদিয়া ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৬৮ হাজার ৩০০ একর জমিতে লবণ চাষ করছে চাষিরা। এবার লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ২৫ লাখ ২৮ হাজার টন। তবে খুশির খবর হচ্ছে, এরই মধ্যে উৎপাদন হয়েছে ২৩ লাখ ৩১ হাজার টন, যা অতীতের সব রেকর্ডকে পেছনে ফেলেছে।

তবে চাষিরা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে লবণের দাম ভালো পাওয়া গেলেও এখন তা নেই। এভাবে চলতে থাকলে শেষ পর্যন্ত লোকসান গুনতে হবে বলে মনে করছেন তারা।

মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই কক্সবাজারে চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদন করেছে চাষিরা। এ পর্যন্ত ২৩ লাখ ৩১ হাজার টন লবণ উৎপাদন করেছে তারা। যা ৬৪ বছরের ইতিহাসকে পেছনে ফেলেছে।

কক্সবাজার লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, গত দুই মাস ধরে চলা তীব্র দাবদাহের কারণে লবণের উৎপাদন রের্কড ছুঁয়েছে।

দেশে ১৯৬০ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে লবণ উৎপাদন হচ্ছে। এবার দৈনিক গড়ে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ৩৯ হাজার টন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন লায়ন খোরশেদ আলম

এআইইউবির ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

অস্ট্রেলিয়া সমুদ্র সৈকতে বন্দুক হামলা, বহু হতাহতের আশঙ্কা

শিক্ষাবিদ কাজী আজহার আলীর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার

হাদিকে গুলির ঘটনায় যেভাবে আটক হলেন হান্নান

হাসিনা শাসনামলে বুদ্ধিজীবীদের দাবিয়ে রাখা হয়েছিল : রাশেদ প্রধান

থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী উপকূলীয় অঞ্চলে কারফিউ জারি

খাঁচা থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসে সিংহী, তদন্তে যা জানা গেল

চা বিক্রেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

আইএসইউতে শিক্ষার্থীদের জন্য এসআইসিআইপি–বিজিএমইএ’র অন ক্যাম্পাস নিয়োগ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

১০

রহস্যজনকভাবে মারা গেলেন ‘দ্য মাস্ক’ খ্যাত অভিনেতা

১১

হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে বিশ্বরেকর্ড গড়ায় অংশ নেবেন আশিক চৌধুরী

১২

বাসে আগুন

১৩

পোস্টাল ভোট : সরকারি চাকরিজীবীদের নিবন্ধনের সুযোগ ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত

১৪

বড় চমক রেখে বাংলাদেশের দল ঘোষণা

১৫

ঘন কুয়াশায় একের পর এক দুর্ঘটনা, ব্যাপক যানজট

১৬

সুদানে শহীদ শান্তিরক্ষীদের পরিচয় প্রকাশ

১৭

দিনাজপুরে সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার

১৮

জুলাই রেবেলস সদস্যের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ২ 

১৯

শিশু সাজিদের মৃত্যু : ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

২০
X