ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে তছনছ হয়েছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা। রোববার (২৬ মে) দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুরু হওয়া ঝড়-বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কয়েক হাজার লোক সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। মধ্য রাতের জলোচ্ছ্বাসে ডুবেছে গোটা উপজেলা। সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মোরেলগঞ্জ ফেরিঘাট থেকে বহুরবুনিয়া অভিমুখের রাস্তাটি সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পানিবন্দি হাজারও কর্মজীবী মানুষ।
এ বিষয়ে সোমবার (২৭ মে) সকালে কন্ট্রোল রুম থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান বলেন, ঝড় এখনো চলছে। রাস্তাঘাট সবকিছু ২-৩ ফুট পানির নিচে রয়েছে। কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে সময় লাগবে। তবে, মৎস্য, কৃষি, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ে নিরাপদ থাকতে কী করবেন?
ঘূর্ণিঝড়ের সময় নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে কী করবেন, আর কী করবেন না-
১. বাড়ির কাছাকাছি থাকা মরা গাছের ডাল ছেঁটে ফেলুন। গাছের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। যাতে বাড়ির ওপর এসে না পড়ে।
২. টিনের পাতলা শিট, লোহার কৌটা যেখানে সেখানে পড়ে থাকলে এক জায়গায় জড়ো করুন। না হলে ঝড়ের সময় এর থেকে বিপদ হতে পারে।
৩. কাঠের তক্তা কাছে রাখুন যাতে কাঁচের জানালায় সাপোর্ট দেওয়া যায়।
৪. ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য জরুরি বৈদ্যুতিক যন্ত্র আগে থেকেই চার্জ দিয়ে রাখুন।
৫. হালকা শুকনো খাবার রাখুন বড়সড় বিপদের জন্য।
৬. পর্যাপ্ত পানি মজুত রাখুন।
৭. যে ঘরটি সবচেয়ে নিরাপদ সেখানে আশ্রয় নিন।
৮. বাড়ির পোষ্য ও গবাদি পশুদেরও নিরাপদ স্থানে এনে রাখুন।
৯. বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ঠিক থাকলে টিভি খবরে নজর রাখুন। না হলে রেডিও চালিয়ে রাখতে পারেন।
১০. ঝড় থামতেই বাইরে বের হবেন না। অপেক্ষা করুন কারণ ঘূর্ণিঝড় চক্রাকারে ঘোরে।
মন্তব্য করুন