খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ৩৭ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১২ মে) রাত ১০টায় ক্যাম্পাসে মিছিলটি বের হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘হামলা, মামলা, বহিষ্কার-মানি না, মানবো না’, ‘প্রহসনের বিচার মানি না’, ‘ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন-চলবে না, চলবে না’ স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা বলেন, নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিতে তারা দেখা করবেন। তাদের অভিযোগ, পূর্ববর্তী ডিসির সময় যাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল, সেই একই শিক্ষার্থীদের আবার শোকজ করা হচ্ছে—যা প্রহসনের নামান্তর।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘৩৭ জনের তালিকায় থাকা ছাত্রদলের ৭ জনের নাম কেন্দ্রীয় নেতারা আগে থেকেই কীভাবে জানতেন, যেখানে শিক্ষার্থীরাই জানতেন না?’
পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, হামলার ঘটনায় নতুন করে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা হোক।
এ বিষয়ে কুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী, আব্দুল্লাহ আল সৈকত এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘কুয়েটে সন্ত্রাসী হামলার তদন্তে গঠিত কমিটি তাদের এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে হামলা পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে তদন্ত করেছে। শিক্ষার্থীদের দমাতে ৩৭ জনের বহিস্কারাদেশ দিয়েছিল এবং তা পরে সিন্ডিকেট আন্দোলনের মুখে বাতিল করে। এখানে তো লাঞ্ছনার বিচারের বদলে এক্স-ভিসির ভেন্ডেটা বাস্তবায়ন করতে দেখতেসি। তদন্ত কমিটির সদস্যরাও এক দফার বিরুদ্ধে, এক্স-ভিসির পক্ষে মানববন্ধন করেছেন। যেটাকে আমরা পক্ষপাতদুষ্ট ও কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট হিসেবে দেখি।’
সোমবার (১২ মে) ওই ৩৭ শোকজ করা হয়। এর আগে ৬ মে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
নোটিশ দেওয়া শিক্ষার্থীদের আগামী ১৫ মে বিকেল ৫টার মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার।
এদিকে, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শাস্তি কার্যকর করা না হলে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন থেকেও বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা।
মন্তব্য করুন