কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভারতে আবারও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

বিধ্বস্ত হওয়ার বিমান ও বিমানের পাইলট। ছবি : সংগৃহীত
বিধ্বস্ত হওয়ার বিমান ও বিমানের পাইলট। ছবি : সংগৃহীত

ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি মিরাজ ২০০০ সিরিজের একটি টু্ইন সিটার বিমান।

বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশের শিবপুরীর কাছে নিয়মিত প্রশিক্ষণের সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় দুজন পাইলটই নিরাপদে বের হয়ে এসেছেন। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ভারতীয় বিমানবাহিনী (আইএএফ) জানায়, আইএএফের একটি মিরাজ ২০০০ বিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণ অভিযানের সময় শিবপুরীর (গোয়ালিয়র) কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এ ঘটনায় দুজন পাইলটই নিরাপদে বের হয়ে এসেছেন। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আইএএফ।

মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমানের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের ডাসল্ট এভিয়েশন। ১৯৭৮ সালে এটি প্রথমবারের মতো আকাশে উড্ডয়ন করে।

ডাসল্ট এভিয়েশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ১৯৮৪ সালে ফরাসি বিমানবাহিনী এটিকে তাদের বহরে অন্তর্ভুক্ত করে। এ সময় ৬০০টি মিরাজ ২০০০ সিরিজের বিমান তৈরি করা হয়। এর ৫০ শতাংশ ভারতসহ ৮টি দেশে রপ্তানি করা হয়।

ভারতীয় বিমানবাহিনীতে মিরাজ ২০০০ কার্গিল যুদ্ধে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে। এটি সন্ত্রাসবাদী এবং পাকিস্তানি বাহিনীর দখলকৃত পাহাড়ের চূড়ায় অত্যন্ত নির্ভুলভাবে বোমা হামলা চালায়। এছাড়া ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বালাকোটের গভীরে একটি সন্ত্রাসী শিবিরে বোমা হামলা চালানোর জন্য ভারতীয় বিমানবাহিনী এ বিমার ব্যবহার করে।

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। রাজস্থানের বারমেরে উত্তরলাই বিমান ঘাঁটির কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত হন বিমানের পাইলট।

আইএএফের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, নিয়মিত রাত্রিকালীন প্রশিক্ষণ মিশনের সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, বারমেরের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়। এটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগেই পাইলট নিরাপদে বের হয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন।

এছাড়া গত বছরের ৪ জুন নাসিকের শিরসগাঁও গ্রামের কাছে ভেঙে পড়েছিল ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান। সে ঘটনায়ও পাইলট এবং কো-পাইলট নিরাপদে বিমান থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়াকে প্রার্থী ঘোষণা করায় ফেনীতে উচ্ছ্বাস

মেসিকে সেরা মানতে নারাজ রোনালদো!

বগুড়ায় বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা

ফিফপ্রোর বর্ষসেরা একাদশ ঘোষণা, জায়গা পেলেন কারা?

দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীদের

তুরাগে মোস্তফা জামানের উঠান বৈঠকে জনতার ঢল

বিএনপি শুধু পরিবর্তনের কথা বলে না, বাস্তবায়নও করে : মিল্লাত

বগুড়ায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান প্রার্থী হওয়ায় আনন্দ মিছিল

বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থী হয়ে ভোটযুদ্ধে আপন দুই ভাই

বাবার আসন পুনরুদ্ধারে লড়বেন নায়াব ইউসুফ

১০

সহকর্মীকে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে নিউরোসার্জনকে অব্যাহতি

১১

সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

১২

শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জে বিএনপির ভরসা মমিনুল হক

১৩

৪৫ রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বহালসহ ৮ দাবিতে আলটিমেটাম

১৪

বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিতদের ‘সুখবর’ দিলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

১৫

এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা শিগগিরই, যেসব আসনে লড়তে পারেন শীর্ষ নেতারা

১৬

যে জেলার কোনো আসনেই প্রার্থী দেয়নি বিএনপি

১৭

সেই প্রিয়াঙ্কাতেই আস্থা বিএনপির

১৮

ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ‘মায়ের ডাকের’ তুলি

১৯

কুমিল্লার ৯ আসনে যাদের পেল বিএনপি

২০
X