

গাজায় যুদ্ধ কাগজে কলমে শেষ হয়েছে। স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনেও অনেক দূর এগিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। তবে এসব কিছুর মূলেই যেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই গোপন পরিকল্পনাকে সামনে আনছে। মধ্যপ্রাচ্যে অবৈধ ইসরায়েল রাষ্ট্রকে বৈধতা দিতে আব্রাহাম চুক্তিতে আরব দেশগুলোর সম্মতির জন্য জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
যদিও ২০২০ সালে আব্রাহাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করে আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মরক্কো। এই চুক্তির মাধ্যমে এসব দেশ ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। তবে ট্রাম্পের মূল লক্ষ্য আরব দেশের ক্ষমতাধর সৌদি আরবকে এ চুক্তিতে রাজি করানো। এজন্য তিনি দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে আসছেন।
তবে ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের লালায়িত স্বপ্ন এবার বাস্তবে রূপ নিতে পারে। কারণ আগামী ১৪ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সোমবার তার এই সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস। যদিও সৌদি আরব এই চুক্তিতে যোগদানের ক্ষেত্রে দোলাচলে রয়েছে। কারণ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে এখনো তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেনি পশ্চিমা বিশ্ব।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা করছেন এই সফরে সৌদি যুবরাজ আব্রাহাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। রোববার সিবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এছাড়া এই সফরে সৌদি যুবরাজ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারই ঐতিহাসিক এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সৌদি যুবরাজের সফরকে কেন্দ্র করে কিছু চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। তবে এক্ষেত্রে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ক্রয়ে সৌদি আরব সবচেয়ে বড় ক্রেতা। দেশ দুটি গত কয়েক দশক ধরে ব্যাপক কূটনৈতিক সম্পর্ক মেনে চলছে। জ্বালানি সরবরাহের মাধ্যমে সৌদি আরব ওয়াশিংটনের কাছে থেকে কঠোর নিরাপত্তা পাচ্ছে। এছাড়া সৌদির রাজত্ব টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে।
মন্তব্য করুন