পাকিস্তানের জোট করে সরকারে আসার বিষয়ে একমত হয়েছে পিপিপি, পিএমএল-এন ও আরও কয়েকটি দল। ইতোমধ্যে পিএমএল-এনের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী শাহবাজ শরিফকে সমর্থন দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। এই সমর্থনের বিনিময়ে সব কিছু ঠিক থাকলে বিলাওয়ালের বাবা আসিফ আলি জারদারিই দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন। খবর জিও নিউজের।
গতকাল মঙ্গলবার নানা দেন-দরবার ও নাটক শেষে ৬টি দল জোট গঠন করে পাকিস্তানের সরকারের আসার ঘোষণা দেয়। এগুলো হলো পিএমএল-এন, পিপিপি, এমকিউএম-পি, পিএমএল-কিউ, আইপিপি ও বিএপি।
২০২২ সালে ইমরান খানের পিটিআই সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) জোট সরকার। পিএমএল-এন ও পিপিপির সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল এই জোট। গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত সরকারে ছিল দল দুটি। এবারও ওই জোটের মতোই আরেকটি জোট গঠনের কথা বলছে দলগুলো।
এসব বিষয় নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার পিএমএল-কিউ-এর সভাপতি চৌধুরী সুজাত হোসেনের বাসভবনে বৈঠকে বসে ছয় দলের প্রধানরা। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি জোট গঠন করে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দেন।
তাদের এই সংবাদ সম্মেলনের আগে পিপিপির প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, তার দল কেন্দ্রীয় সরকারের অংশ হবে না। তবে প্রধানমন্ত্রী পদে পিএমএল-এননের প্রার্থীকে সমর্থন দেবেন।
এ সময় জাতীয় পরিষদের স্পিকার, সিনেট চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্টের মতো সাংবিধানিক পদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পিপিপি চেয়ারম্যান বলেন, এসব পদে প্রার্থী মনোনয়ন দেবে তার দল। অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে প্রেসিডেন্ট পদে তিনি আসিফ আলি জারদারিকে দেখতে চান।
সূত্রের বরাতে জিও নিউজ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদে শাহবাজ শরিফকে সমর্থন দেওয়ার বিনিময়ে প্রেসিডেন্ট পদে আসিফ আলিকে সমর্থনের বিষয়ে কথা দিয়েছেন পিএমএল-এনের নেতারা। সব কিছু ঠিক থাকলে এবার পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী হবে পিএমএল-এন থেকে আর প্রেসিডেন্ট হবে পিপিপি থেকে।
তবে পিএমএল-এনের সিনিয়র নেতা রানা সানাউল্লাহ দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট পদ দাবি করেনি পিপিপি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, শরিকদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে শাহবাজের। অন্যদিকে আসিফ আলির বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো রাজনৈতিক দক্ষতা রয়েছে।
মন্তব্য করুন