কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৪, ০১:৩৩ পিএম
আপডেট : ০৩ মে ২০২৪, ০১:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গ্রেপ্তার-হামলার পরও যে দাবিতে অনড় মার্কিন শিক্ষার্থীরা

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। ছবি : বিবিসি
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। ছবি : বিবিসি

ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এ আন্দোলন ভালোভাবে দেখছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও মার্কিন প্রশাসন। গণগ্রেপ্তার, মারধর, আইনি হয়রানি, বহিষ্কারের হুমকিসহ নানাভাবে দমনপীড়ন করে বিক্ষোভ ঠেকানোর চেষ্টা করছে তারা।

তবু শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু গেড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, এত সহজে তারা হাল ছাড়বেন না। তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবেন।

শুক্রবার (৩ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলা বন্ধ চান শিক্ষার্থীরা। তারা চান, এ ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসন ইসরায়েলকে চাপ দিক। এ ছাড়া তাদের একটি অংশ স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিও করছেন।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক একটি শক্ত দাবি উত্থাপিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা চান, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক চান না তারা। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ওই প্রতিষ্ঠানগুলো ইসরায়েলকে যুদ্ধে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা করছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে। এর মধ্যে আছে ইসরায়েলি কোম্পানি বা ইসরায়েলে ব্যবসা করে বা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা প্রতিষ্ঠান।

এসব প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর থেকে মূলধন সংগ্রহ করে কার্যক্রম চালায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে লাভ্যাংশ দেয়। তা স্কলারশিপ, গবেষণা, পরীক্ষাগারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ করে বিশ্ববিদ্যালয়।

ওই প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত ইসরায়েলকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করে। যুদ্ধের বিশাল খরচ বহন, অস্ত্র কেনা, সামরিক রসদ পরিচালনায় ইসরায়েলের যে মহাশক্তি, তার পেছনে আছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

তাই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ওই সব প্রতিষ্ঠানে শেয়ার বিক্রি, বিনিয়োগ ও সব ধরনের আর্থিক চুক্তি বাতিল চায়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা করে হামাস। এর জবাবে গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। তখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, র‌্যালি, অনশন, সভা করে যুদ্ধ বন্ধের দাবি করছে।

সর্বশেষ ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা, যা দমনে পুলিশ ডাকে কর্তৃপক্ষ।

তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ২ হাজারের বেশি গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সর্বশেষ বুধবার রাতে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায় পুলিশ অভিযান চালায়। সেখান থেকে ২০৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে সেখানে মঙ্গলবার মধ্যরাতে ইসরায়েলপন্থি ও ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এ ছাড়া কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গণগ্রেপ্তার চালিয়ে তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নেয় শত শত পুলিশ। তবু দেশের ডজনখানেক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে মুহূর্তে বিলীন ১৯ স্থাপনা

চট্টগ্রামে বহুতল ভবনে আগুন

যশোরে ইমামবাড়াতে চুরি, খোয়া গেছে দেড়শ বছরের পাঞ্জা

সহপাঠীকে মারধর, তা’মীরুল মিল্লাতের ৫ শিক্ষার্থীকে টিসি

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন : ফল নিয়ে অসন্তোষ, হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নের দাবি

লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের সভাপতি হুমায়ুন, সম্পাদক লিংকন

বিএনপির সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারে মনোনীতের কারণ চিঠিতে ব্যাখ্যা করলেন নেতানিয়াহু

হবিগঞ্জ-সিলেট বাস চলাচল বন্ধ

ঘুষের বিনিময়ে আসামিকে ছেড়ে দিলেন এএসআই

১০

সিরিজ জয়ের মঞ্চে বাংলাদেশের সামনে বৃষ্টির শঙ্কা

১১

ভারতে ভার্চুয়াল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছে নতুন প্রজন্ম

১২

উত্তাল সমুদ্রে নেমে ভেসে গেলেন চবির ৩ শিক্ষার্থী

১৩

আইপিএল জেতা ভারতীয় ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

১৪

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে নেতানিয়াহুর মনোনয়ন

১৫

নিউইয়র্ক পুলিশের সার্জেন্ট হলেন সিলেটের মারুফ

১৬

ঢাকাসহ ৪ বিভাগে অতি ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস

১৭

ইতিহাস গড়ার ম্যাচে কেমন হতে পারে বাংলাদেশের একাদশ?

১৮

কর্মস্থলেই ওয়াশরুমের দরজায় ফাঁস দিলেন অফিস সহকারী

১৯

‘তামিম ছিলেন আদর্শ, এখন ট্রাভিস হেড অনুপ্রেরণা’

২০
X