মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নাছিরের দই মানেই স্বাদের ছোঁয়া

মিষ্টি দই হাতে নাছির। ছবি : কালবেলা
মিষ্টি দই হাতে নাছির। ছবি : কালবেলা

চাঁদপুরের মতলব উত্তরের নন্দলালপুরের নাছিরের তৈরি মিষ্টি দই; যেমনই স্বাদ তেমনি পুষ্টিসমৃদ্ধ। এমন দাবি সেখানকার দইপ্রেমীদের। আর এ জন্যই প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নাছিরের দোকানে দইপ্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে। রমজানকে ঘিরে নন্দলালপুরের নাসির দই ভান্ডারে গিয়ে বেচা-বিক্রিতে ব্যস্ত দেখা যায়।

খোকন নামের এক ক্রেতা বলেন, অন্য স্থানের দইয়ের চেয়ে নাছিরের তৈরি দই পুষ্টিসমৃদ্ধ। কারণ, সে এখানকার গরুর খাঁটি দুধ দিয়ে নির্ভেজালভাবে দই তৈরি করে। আর দামও অন্যান্য স্থানের চেয়ে কম। তাই আমরা সময় সুযোগে দইয়ের প্রয়োজন হলেই এখানে দই কিনতে চলে আসি।

স্থানীয়রা জানান, এখানে একসময় নাছির উদ্দিন (৩৮) তার বাবা মো. আবুল হোসেনের সঙ্গে দোকানে বসতেন। এরপর বাবার দেখাদেখি ছোটবেলা থেকেই সে দই তৈরি ও বিক্রিতে পারদর্শী হয়ে উঠেন। এরপর থেকে তার দইয়ের সুনাম স্থানীয় বাজারসহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে থাকলে তিনি এ ব্যবসাতেই সফলতা খুঁজতে থাকেন। বর্তমানে বাজারে তিনি একটি সেমিপাকা ঘর ভাড়া নিয়ে দই বিক্রি করছেন। যেখানে দোকানটি আকারে ছোট হলেও ক্রেতাদের আনাগোনায় সবসময়ই প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর থাকে।

নাছির উদ্দিন বলেন, বাবার হাত ধরে ২০০৪ সালে মাত্র ২০ হাজার টাকা নিয়ে নেমে ২১ বছরের বেশি সময় চলছে আমার এই ব্যবসা। অভাব অনটনে নবম শ্রেণির বেশি পড়ালেখা করতে পারিনি। তবে দই ব্যবসায় মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। মানুষজন দূর-দূরান্ত থেকে এখানে এসে দই খেয়ে তৃপ্তি পান। যখন ভালো বলেন তখন মানসিক শান্তি পাই। আমি গ্রাম থেকে গরুর খাঁটি দুধ সংগ্রহ করে চিনি ও দুধের অনুপাত ঠিক রেখে চাহিদানুযায়ী গ্যাসের চুলায় বাড়িতে এবং কখনো দোকানেই দই তৈরি করে বিক্রি করছি। যে কেউ চাইলে আগাম অর্ডারও করতে পারেন এই দই।

নাছির উদ্দিন আরও বলেন, দুধের দাম বেশি হওয়ায় এখন খরচ পোষাতে এক গ্লাস দই ৩০ টাকা এবং কেজিপ্রতি দই ২০০ টাকা দামে বিক্রি করছি। আমার তৈরিকৃত মিষ্টি দই বিক্রির জন্য কাচের ও প্লাস্টিকের গ্লাসে এবং পাতিলে করে সংরক্ষণে রাখি। প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ গ্লাস দই বিক্রি করছি। এ ছাড়া পাতিলে করে প্রতিদিন দই বিক্রি হয় গড়ে ১৫ থেকে ২০ কেজি। এই ব্যবসা করেই আমার দুই মেয়ে ও এক ছেলের পড়ালেখার খরচসহ স্ত্রী ও বাবা-মাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করছি। তবে সরকার বা কোনো সংস্থার সহায়তা পেলে এ ব্যবসাটিকে আরও নান্দনিকভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হতো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জম্মু-কাশ্মীরে বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরের পথে ভয়াবহ ধস, ৩০ জনের মৃত্যু

আত্মহত্যায় সাহায্যের অভিযোগে চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে মামলা

স্বপ্ন ছোঁয়ার আগেই থেমে গেল অরণ্যের জীবন

সন্তানকে বাঁচাতে মেট্রোরেলের গেট ধরে মায়ের আহাজারি

এবার নতুন কর্মসূচির ঘোষণা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের

অভিনেত্রী মানেই পোশাক খুলে দাঁড়িয়ে পড়বে?

প্রীতির হ্যাটট্রিকে নেপালের বিপক্ষে আরেকটি জয় বাংলাদেশের

গ্রেপ্তার ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালালকে নিয়ে রাশেদের পোস্ট

রাজশাহীতে সিসিএসের বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সম্মেলন

কৃষি জমি রক্ষায় দ্রুত আইন আসছে : কৃষি উপদেষ্টা

১০

টিসিবির চাল নিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না বৃদ্ধের

১১

সরকারি কর্মচারীদের চিকিৎসায় অনুদান মঞ্জুরির হার পুনর্নির্ধারণ

১২

প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ, ২৪৫০ কোটি টাকার ক্ষতি

১৩

কবরের আজাব ও বার্ধক্যের দৈন্য থেকে মুক্তি পেতে যে দোয়া পড়বেন

১৪

ডুবন্ত বাঁধ নির্মাণ হলে হাওরে কৃষি উৎপাদনের ক্ষতি কমানো সম্ভব : রিজওয়ানা হাসান

১৫

আমড়া ভর্তা খেয়ে হাসপাতালে ৬ শিক্ষার্থী

১৬

সিইসির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক বৃহস্পতিবার

১৭

‘কাজী জাফরকে বাদ দিয়ে কেউ বাংলার ইতিহাস লিখতে পারবে না’

১৮

গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়ে ‘জরুরি’ নির্দেশনা

১৯

পাঁচটি কংক্রিট মিক্সারসহ নিলামে ৫৮ লট পণ্য

২০
X