ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। কাতারের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে চার দিনের এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে এর মধ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির শুরুর আগেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক সতর্কবার্তা দিয়েছে। সেখানে তারা গাজার মানুষকে জানায়, যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র অভিচয় আদরাই বলেন, মানবিক এ যুদ্ধবিরতি সাময়িক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া ওই পোস্টে তাকে আরবি ভাষায় কথা বলতে শোনা যায়।
গাজাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য গুরুতর। উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দোদের সরে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। এ সময় নিরাপত্তার জন্য সেখানকার বাসিন্দাদের মানবিক অঞ্চলে অবস্থান করতে বলা হয়।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৭টা থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে দরকষাকষির পর শর্ত মেনে চার দিনের এ যুদ্ধবিরতি সম্মত হয় উভয়পক্ষ।
বৃহস্পতিবার চুক্তির মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার জানায়, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত উভয়পক্ষ। শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে এ বিরতি কার্যকর করা হবে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে। এর আতওায় প্রথম ধাপে চার দিনের বিরতি কার্যকর করা হবে। এ ছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যায় জিম্মিদের প্রথম দলকে মুক্তি দেবে হামাস।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, এদিন হামাসের হাতে বন্দি ১৩ জন নারী ও শিশুকে প্রথম মুক্তি দেওয়া হবে। এভাবে করে চার দিনের মধ্যে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেছেন, মুক্তি পেতে যাওয়া বেসামরিক নাগরিকদের একটি তালিকা পাওয়া গেছে। জিম্মিদের মুক্তিতে পরিবারগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন