দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। দুদিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ১০/২০ টাকা বেড়েছে। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে।
হঠাৎ দাম বেশি হওয়াতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। ব্যসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় এবং চাহিদা অনুযায়ী আমদানি না বাড়ার কারণে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সরেজমিনে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুদিন আগে বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ১০০ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে কেজিপ্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, এর আগে যার দাম ছিল কেজিতে ৮৫ টাকা।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মফিজুল হোসেন বলেন, আমাদের হোটেল আছে। হোটেলে প্রতিদিন রান্নার কাজে পেঁয়াজ দরকার হয়। আজ পেঁয়াজ কিনতে এসে শুনি দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে।
তিনি বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের মতো মানুষের হিসাব করে চলতে হয়। দাম বৃদ্ধির কারণে এখন কম পেঁয়াজ কেনা হচ্ছে। আগে পেঁয়াজ কিনতাম ৪/৫ কেজি, এখন ২/৩ কেজি। দাম কমলে আমাদের জন্য ভালো হতো।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা তাহের আলী বলেন, দেশে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সে সুযোগে মোকামে অতি মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন। মোকামে দুদিন আগেও পেঁয়াজের দাম ছিল মণপ্রতি ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৯০০ টাকা। বর্তমানে তা ৫০০/৬০০ টাকা বেড়েছে।
তিনি বলেন, বাড়তি দামে পেঁয়াজ কেনায় আমাদেরও সে অনুযায়ী বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া দেশি পেঁয়াজের মৌসুমও শেষপর্যায়ে। তাই বাড়তি দামের আশায় স্বল্প পরিমাণে পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ করছেন কৃষকরা।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সংগঠনের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন কালবেলাকে বলেন, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশের বাজারে আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী, আমদানি বাড়ছে না। তাই পেঁয়াজের দাম দেশের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
তিনি বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজের ক্ষেত্রে ভারতের নির্ধারিত ৪০ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ, পরিবহন খরচ ও বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি শুল্কসহ সব মিলিয়ে বন্দরে এসে পৌঁছানো পর্যন্ত দাম পড়ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ব্যবসায়ীদের বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।
মন্তব্য করুন