কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৬ পিএম
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ
দ. কোরিয়ার বিমান দুর্ঘটনা

বিধ্বস্ত বিমান থেকে কীভাবে প্রাণে বাঁচলেন দুই যুবক?

মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত জেজু এয়ারের বিমান। ছবি : সংগৃহীত
মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত জেজু এয়ারের বিমান। ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমান দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে ১৭৯ জন মানুষের। ১৮১ আরোহীর মধ্যে শুধু ‘ভাগ্যের জোরে’ বেঁচে গিয়েছেন ওই বিমানের দুজন কর্মী। কিন্তু সবার মৃত্যু হলেও কীভাবে প্রাণে বাঁচলেন ৩২ বছরের লি এবং ২৫ বছরের কওন!

কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিমানের একেবারে শেষ প্রান্তে বসেছিলেন লি ও কওন। পরিসংখ্যান বলছে, বিমানের শেষ প্রান্তের সিটগুলোই যে কোনো বাণিজ্যিক ফ্লাইটের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। ফলে এই শেষ প্রান্তের সিটগুলোই বাঁচিয়ে দিয়েছে তাদের।

বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে ২০১৫ সালে একটি পরিসংখ্যানে প্রকাশ করে আমেরিকার টাইম ম্যাগাজিন। ওই পরিসংখ্যানে বিগত ৩৫ বছরের যাবতীয় বিমান দুর্ঘটনার তথ্য ঘেঁটে দেখানো হয়। প্রত্যেক দুর্ঘটনায় কত জন মারা গেছেন এবং কত জন বেঁচে ফিরেছেন, মৃত এবং বেঁচে যাওয়ারা বিমানের কোন আসনে বসেছিলেন তার একটি বিস্তারিত তালিকা করা হয় সেখানে।

পরিসংখ্যানে উঠে আসে, বিমানের পেছন দিকের আসনগুলোতে বসলে দুর্ঘটনার পরেও মৃত্যুর হার তুলনামূলক কম থাকে। একদম শেষের আসনগুলোতে মৃত্যুর আশঙ্কা ৩২ শতাংশ, মাঝের আসনগুলোতে ৩৯ শতাংশ এবং সামনের দিকের আসনে মৃত্যুর আশঙ্কা ৩৮ শতাংশ।

তবে ওই রিপোর্টের দাবি, বিমানের পেছনের দিকের মাঝের আসনগুলোতে মৃত্যুর আশঙ্কা সবচেয়ে কম থাকে— ২৮ শতাংশ।

মুয়ানে বিমান দুর্ঘটনার পর যখন চারদিক আগুন আর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে তখনই বিমানের শেষ প্রান্ত থেকে উদ্ধার করা হয় লি ও কওনকে। তবে আকস্মিক ধাক্কায় দুর্ঘটনার সব স্মৃতি হারিয়েছেন প্রাণে বেঁচে যাওয়া দুই যুবক। ওই বিমানে কী ঘটেছিল, কোন অলৌকিক শক্তিতে প্রাণে বেঁচে গেলেন, কিছুই মনে করতে পারছেন না তারা!

হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, আঘাতের জেরে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন লি। সোমবার তার জ্ঞান ফিরেছে। কিন্তু জ্ঞান ফেরার পরও অনেকটা আতঙ্কিত রয়েছেন তিনি। ‘কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল?’ চিকিৎসকদের প্রশ্নের উত্তরে কিছুই মনে করতে পারছেন না ওই যুবক।

লি-র মতোই কিছুই মনে নেই কওনেরও। আপাতত কওনের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। মাথায়, গোড়ালিতে এবং পেটে আগাত পেয়েছেন তিনি। মাথার খুলিতেও চিড় ধরেছে, তবে তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রবিবার ভোরে ব্যাংকক থেকে ফিরছিল দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারের ওই বিমানটি। বিমানে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন বিমানকর্মী ছিলেন। জিওলা প্রদেশের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় বিমানটি। এঘটনায় বিমানের ১৭৯ জন আরোহী প্রাণ হারান। অনেকেই বলছেন, এটি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে ‘অন্যতম ভয়ংকর’ বিমান দুর্ঘটনা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এবার নতুন কর্মসূচির ঘোষণা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের

অভিনেত্রী মানেই পোশাক খুলে দাঁড়িয়ে পড়বে?

প্রীতির হ্যাটট্রিকে নেপালের বিপক্ষে আরেকটি জয় বাংলাদেশের

গ্রেপ্তার ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালালকে নিয়ে রাশেদের পোস্ট

রাজশাহীতে বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত

কৃষি জমি রক্ষায় দ্রুত আইন আসছে : কৃষি উপদেষ্টা

টিসিবির চাল নিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না বৃদ্ধের

সরকারি কর্মচারীদের চিকিৎসায় অনুদান মঞ্জুরির হার পুনর্নির্ধারণ

প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ, ২৪৫০ কোটি টাকার ক্ষতি

কবরের আজাব ও বার্ধক্যের দৈন্য থেকে মুক্তি পেতে যে দোয়া পড়বেন

১০

ডুবন্ত বাঁধ নির্মাণ হলে হাওরে কৃষি উৎপাদনের ক্ষতি কমানো সম্ভব : রিজওয়ানা হাসান

১১

আমড়া ভর্তা খেয়ে হাসপাতালে ৬ শিক্ষার্থী

১২

সিইসির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক বৃহস্পতিবার

১৩

‘কাজী জাফরকে বাদ দিয়ে কেউ বাংলার ইতিহাস লিখতে পারবে না’

১৪

গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়ে ‘জরুরি’ নির্দেশনা

১৫

পাঁচটি কংক্রিট মিক্সারসহ নিলামে ৫৮ লট পণ্য

১৬

নতুন আইফোন কবে আসছে, জানাল অ্যাপল

১৭

‎গকসু : শুরুতেই নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ

১৮

নারীর তুলনায় ক্যানসারে পুরুষের মৃত্যুঝুঁকি বেশি, নেপথ্যে কারণ কী?

১৯

মোদি ‘অত্যন্ত ভয়ংকর ব্যক্তি’, ক্ষোভ ট্রাম্পের

২০
X