দীর্ঘ আলোচনার পর যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ে সম্মত হয়েছে হামাস-ইসরায়েল। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৭টা থেকে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। আর বন্দিবিনিময়ের প্রথম দলকে বিকেলে হস্তান্তর করা হবে। তবে কীভাবে জিম্মিদের হস্তান্তর করা হবে সে প্রক্রিয়াও জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
শুক্রবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বিকেলে জিম্মিদের প্রথম দলকে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ যুদ্ধবিরতির চার দিনে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দিবে হামাস। যার মধ্যে প্রথম দলে ১৩ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
গাজা থেকে মুক্তি পেতে যাওয়া এ জিম্মিদের মিশরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ সময় পুরো প্রটোকলে তাদের রাখা হবে।
বিবিসি জানিয়েছে, জিম্মিদের রাফাহ ক্রসিংয়ে মিশরের পাশে আনা হলে তারা সেখানে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর মুখোমুখি হবেন।এরপর সেখানে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। এরপর তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পরীক্ষা করা হবে। এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলে তাদের হেলিকপ্টারে করে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হবে।
জানা গেছে, ইসরায়েলে তাদের হেলিকপ্টারে করে নেওয়ার সেখানে আরো স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে। এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তাদেরকে এরপর তাদের পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হবে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে গাজায় জিম্মিদের একটি দলকে মুক্তি দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, এদিন হামাসের হাতে বন্দি ১৩ জন নারী ও শিশুকে প্রথম মুক্তি দেওয়া হবে। এভাবে করে চার দিনের মধ্যে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেছেন, মুক্তি পেতে যাওয়া বেসামরিক নাগরিকদের একটি তালিকা পাওয়া গেছে। জিম্মিদের মুক্তিতে পরিবারগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
চুক্তির শর্তানুসারে হামাস ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। যার বিপরীতে নিজেদের কারাগারে থাকা ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্ত দেবে ইসরায়েল। কাতার, মিশর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এ চুক্তি অনুযায়ী রেড ক্রস জিম্মিদের পরিদর্শন করবে।
চুক্তির আওতায় গাজায় ত্রাণ সহায়তা, তেল, জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেবে ইসরায়েল। এ সময়ে এসব কার্যক্রমে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না।
চুক্তিতে বলা হয়েছে, এটির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। প্রতি একদিন যুদ্ধবিরতির জন্য ফিলিস্তিনকে ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।
যুদ্ধবিরতির এ সময়ে ইসরায়েল তাদের সামরিক মহড়া বন্ধ রাখবে এবং তারা উত্তর থেকে দক্ষিণে সালাহ আল-দিন সড়ক দিয়ে সরে যাওয়ার অনুমতি দেবে।
মন্তব্য করুন