সিরিয়ায় নিজেদের দূতাবাসে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলের ভূখণ্ডজুড়ে ইরানের নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। এ সময় ইসরায়েলের পাশে থাকার ঘোষণাও দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাখোঁ ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
তবে দুই নেতাই তেহরানের এ হামলার জাবাব দিতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন নেতানিয়াহু প্রশাসনকে। জানান, মধ্যপ্রাচ্যে আর কোনো নতুন সংঘাত দেখতে চায় না তাদের দেশ।
গণমাধ্যমে ফরাসি প্রেসিডেন্ট জানান, সংঘাত এড়িয়ে চলার জন্য সম্ভাব্য সব কিছুই করবে ফ্রান্স। এ সময় ইসরায়েলকে ইরানে পাল্টা হামলা না চালানোর জন্য পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলেও জনান ম্যাখোঁ।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইরানের হামলার জবাব না দিয়ে গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির ওপর নিবিষ্ট থাকা উচিত তেলআবিবের। ক্যামেরন জানান, ইসরায়েলিরা যদি প্রতিক্রিয়া দেখাতে চায় তাহলে তারা সঠিক ভাবছে, তবে এ ধরনের পদক্ষেপ কেবল সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তুলব।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইরান ইতোমধ্যেই দ্বিগুণ পরাজয় বরণ করেছে। তাদের এ আক্রমণটি সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। তাই লন্ডন আশা করে এ জন্য প্রতিশোধমূলক কোনো পদক্ষেপ নেবে না তেলআবিব। এ হামলার মাধ্যম তেহরান প্রমাণ করেছে যে- তারা বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান।
এরপর গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে পাঁচ ঘণ্টা ধরে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। হামলার একপর্যায়ে চিরশত্রু ইসরায়েলের দিকে কয়েক মিনিটের মধ্যে একযোগে অন্তত ১০০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে আইআরজিসির বিমানবাহিনী।
ইরানের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিনশরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তেহরান। সেগুলোর বেশিরভাগ ইসরায়েল প্রতিহত করলেও অন্তত ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের মাটিতে আঘাত হেনেছে।
এ হামলার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। সে সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কোনো সংঘাত চান না বলেও স্পষ্ট করে জানান বিশ্ব নেতারা।
মন্তব্য করুন